আরজিকরের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে গ্রামবাংলায়, এবার প্রতিবাদে সামিল হরিশ্চন্দ্রপুর, পোস্টার ব্যানার হাতে মহিলাদের প্রতিবাদ মিছিল, গৃহবধূ থেকে স্কুল ছাত্রী উপস্থিত সকলেই, দাবী একটাই দোষীদের শাস্তি এবং মহিলাদের সুনিশ্চিত নিরাপত্তা।
মালদা;তনুজ জৈন;২০আগস্ট: আরজিকরের নারকীয় ঘটনার প্রতিবাদ।তিলোত্তমা কে খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদ। বিক্ষোভের আগুনে উত্তাল সারা রাজ্য।এই প্রতিবাদ এবার শুধু কলকাতার রাজপথ বা শহরতলিতে সীমাবদ্ধ নয়।প্রতিবাদের দাবানলের স্ফুলিঙ্গ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামবাংলায়।এবার এই প্রতিবাদে সামিল হলেন মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকার মেয়েরাও। পাশাপাশি প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটলেন ছেলেরা। গৃহবধূ থেকে শুরু করে স্কুল এবং কলেজ ছাত্রী সকলেরই উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।এমনকি অনেক অভিভাবক নিজেদের খুদেদের নিয়েও মিছিলে হাটেন।পিপলা থেকে শুরু হয় এই প্রতিবাদ মিছিল। সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর পরিক্রমা করে শেষ হয় শহীদ মোড়ে।পাঁচ শতাধিক মহিলা এদিন পা মেলান মিছিলে।হাতে ব্যানার,পোস্টার নিয়ে উঠতে থাকে মুহুর্মুহু স্লোগান। সকলের দাবি একটাই সমগ্র ঘটনার কিনারা করে দ্রুত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।সাথে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে সকল স্তরের মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।শহীদ মোড়ে এসে মৃতার আত্মার শান্তি কামনায় মোমবাতি জ্বালিয়ে এই কর্মসূচি শেষ হয়।সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ভাবে মহিলাদের এই ধরনের গণ আন্দোলন রাস্তায় নেমে পূর্বে দেখেনি হরিশ্চন্দ্রপুর।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী জয়া স্যানাল বলেন, আমাদের ভুললে চলবে না অভয়ার চোখ দিয়ে জল বেরোয়নি বেরিয়েছিল রক্ত। ঘটনার ৭ দিন অতিক্রান্ত। শুধু একজনকে ধরে রাখলে চলবে না।সকল দোষীদের সামনে আনতে হবে। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। সারা রাজ্যের সঙ্গে আজ আমরাও পথে নেমেছি।
আরেক অংশগ্রহণকারী অর্চি চক্রবর্তীর বক্তব্য, বর্তমানে আমরা কেউ সুরক্ষিত নয়। সকল দোষীদের শাস্তি হোক। নির্ভয়া থেকে তিলোত্তমা সবার আত্মার শান্তি পাক। আর আমাদের মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত হোক। আজ এই দাবিতেই আমাদের পথে নামা।