হুমকির দিন রাতেই সিপিএমের প্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, চালানো হলো ব্যাপক ভাংচুর, চুরি গেল সোনা চাঁদি থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র, অভিযোগের তীর দুই তৃণমূল কর্মীর দিকে, তারা রাস্তার জন্য আবেদন করে ছিলেন পঞ্চায়েতে প্রধান তাদের ফাঁসাচ্ছেন পাল্টা দাবি অপরপক্ষের, তদন্তে পুলিশ।
মালদা;তনুজ জৈন;২৮সেপ্টেম্বর: প্রথমে সিপিএমের প্রধান এবং তার স্বামীকে হুমকি তৃণমূল কর্মীর। তারপর সেই রাতেই প্রধানের বাড়িতে দুষ্কৃতী তাণ্ডব। প্রধান এবং তার পরিবারের অনুপস্থিতির সুযোগে দুষ্কৃতীরা ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালালো প্রধানের বাড়িতে। চুরি গেল বাড়ির আসবাবপত্র সরঞ্জাম, সোনা চাঁদি নগদ টাকা থেকে থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ নথি। যারা হুমকি দিয়ে ছিলেন তাদের কাজ হতে পারে আশঙ্কা প্রধানের স্বামীর। যদিও পাল্টা অপর পক্ষের দাবি তারা রাস্তার জন্য পঞ্চায়েতে একটি আবেদন দিতে গিয়ে হুমকির সম্মুখীন হয়ে ছিলেন। তারা কোন দলের সঙ্গে যুক্ত নন। এখন প্রধান চক্রান্ত করে তাদের ফাঁসাচ্ছে।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের আঙ্গারমুনি গ্রামের ঘটনা। তুলসিহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএমের প্রধান সোমা খাতুনের বাড়িতে এই চুরি এবং দুষ্কৃতি তাণ্ডবের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রধানের পরিবার সূত্রে জানা গেছে শুক্রবার রাতে তারা এই বাড়িতে ছিলেন না। পরিবারের প্রত্যেকে চাঁচলের একটি বাড়িতে ছিলেন। আজ সকালে এসে দেখতে পান সমগ্র বাড়ি লন্ডভন্ড। আসবাবপত্র থেকে শুরু করে দরজা জানালায় ব্যাপক ভাঙচুর।আলমারি ভেঙে নেওয়া হয়েছে ছয় ভুরি সোনা পঁচিশ ভুরি চাদি এবং নগদ সাত হাজার টাকা বলেও অভিযোগ। প্রধানের স্বামীর দাবী গতকাল ওই এলাকারই বাসিন্দা আব্দুস সালাম এবং তার ছেলে সাহিল সরকার তাদের হুমকি দেন। এলাকা ছাড়া করার কথা বলেন। এই দুজনে তৃণমূল কর্মী। তারপর তাদের বাড়িতে চুরি এবং তাণ্ডবের এই ঘটনায় তাদের হাত থাকতে পারে বলে আশঙ্কা প্রধানের স্বামীর। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে এই দুই পক্ষ পারিবারিক ভাবে আত্মীয়। জমি নিয়ে তাদের মধ্যে বিবাদ চল ছিল। যদিও অপরপক্ষ আব্দুস সালামের ছেলের দাবি তারা কোন রকম চুরির ঘটনায় যুক্ত নয়। শুক্রবার তারা পঞ্চায়েতে গেছিল রাস্তার দাবী নিয়ে। রাস্তার টেন্ডার ধরা হলেও কাজ হচ্ছিল না। তার আবেদন পত্র দেয়। কিন্তু প্রধান রিসিভ করে দিচ্ছিলেন না। সেই নিয়ে আব্দুস সালাম প্রতিবাদ করেন।বিস্তর ঝামেলা হয় পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী দিলরোজ তাদের হুমকি দেন। তাদের পাল্টা অভিযোগ দিলরোজ তাদের ফাঁসানোর জন্য হয়তো এই চুরির নাটক করছেন। সাথে তাদের আরো অভিযোগ দিলরোজ একটা জমির জন্য টাকা নিয়ে তাদের এখন রেজিস্ট্রি দিতে চাইছেন না। আব্দুস সালাম এবং দিলরোজ সম্পর্কে কাকা ভাইপো।এদিকে সমগ্র ঘটনা নিয়ে তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই প্রধানের বাড়িতেও পুলিশ এসে সমস্তটা খতিয়ে দেখেছে। অন্যদিকে ব্লক তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি এই ধরনের ঘটনায় তাদের কোনো যোগ নেই। এটা দুই পক্ষের মধ্যে পারিবারিক বিবাদ। সিপিএমের প্রধান নিজেই এর জন্য দায়ী।