মাঝপথে নির্মীয়মান রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভোগান্তির সম্মুখীন পথচারীরা,নির্মীয়মান রাস্তার একাংশের অরক্ষিত লোহার শিকে হোঁচট খেয়ে গুরুতর জখম বৃদ্ধ, ঠিকাদারি সংস্থার ভূমিকায় প্রশ্ন, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
মালদা;তনুজ জৈন;২৩আগস্ট: নির্মীয়মান রাস্তার কাজ বন্ধ থাকায় প্রতিনিয়ত ঘটছে বিপত্তি।বাড়ছে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা।এবার নির্মীয়মান রাস্তার কাজে বেরিয়ে থাকা শিকে হোঁচট খেয়ে গুরুতর জখম এক প্রবীণ ব্যক্তি। তবুও যেন হেলদোল নেই প্রশাসনের। ব্যাপক ক্ষোভ জমছে এলাকাবাসীর মধ্যে। প্রসঙ্গত হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় হাসপাতালগামী রামবিধু মোড় থেকে মনসা মন্দির পর্যন্ত ৪০০ মিটার রাস্তা ঢালাই এর কাজ শুরু হয় পূর্ত দফতরের ৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ অর্থে। নির্বাচনের জন্য মাঝে বন্ধ থাকে কাজ।কিন্তু কাজ শুরু হতেই তারপরে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা।যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়।খবরের জেরে কাজ পরিদর্শনে আসেন আধিকারিকরা।বর্তমানে বন্ধ রয়েছে রাস্তার কাজ।কিন্তু ব্যস্ততম এই রাস্তা দিয়ে প্রত্যহ কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। নির্মীয়মান অবস্থায় রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে পথচারীরা।রাস্তার একাংশে উন্মুক্ত অবস্থায় বেরিয়ে রয়েছে লোহার শিক। সেই শিকে হোচট খেয়ে বাবলা দাস নামে স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি গুরুতর জখম হন বুধবার। শিকের আঘাতে তার চোখের পাশে ব্যাপক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে।তবে যে ভাবে শিকগুলি অরক্ষিত অবস্থায় রয়েছে যে কোন মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে আরও বড় দুর্ঘটনা। রাস্তা নির্মাণকারি সংস্থার ভূমিকা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয়দের প্রশ্ন কেন এই ভাবে রাস্তার কাজ বন্ধ রেখে সব কিছু ফেলে রাখা হয়েছে। যার ফল ভুগতে হচ্ছে পথচারীদের।
টোটো চালক ছোটন আলি জানান, ঐ বৃদ্ধ হোঁচট খেয়ে পড়ে গেছিল। রাস্তার কাজ যেহেতু বন্ধ রয়েছে লোহার শীকগুলি বেরিয়ে রয়েছে। সেখানে অনেকেরই অসুবিধা হচ্ছে।আমি ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।