কলেজ চত্বর আরজিকর কান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে স্লোগান উঠতেই ধুন্দুমার পরিস্থিতি সিপিএম এবং তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের মধ্যে, একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ, পুলিশের বিরুদ্ধে নীরব দর্শক হয়ে থাকার অভিযোগ সিপিএমের, আইসি কে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং জেলা পুলিশ সুপারকে জেলা সভাপতি বলে কটাক্ষ রাজ্য সিপিএমের।
মালদা;তনুজ জৈন;২১আগস্ট: আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদ সভাকে কেন্দ্র করে কলেজ চত্বরে এসএফআই এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে ধুন্দুমার। একে অপরের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ। এসএফআইএর প্রতিবাদ সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের স্লোগান উঠতেই মেজাজ হারায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মীরা। তাদের দাবি কলেজের মধ্যে অরাজনৈতিক ভাবে প্রতিবাদ হবে। এই ধরনের স্লোগান বা কটুক্তি করা যাবে না।তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আরো অভিযোগ এসএফআইএর বহিরাগতরা জোর করে ছাত্র-ছাত্রীদের আনছিল। যদিও এসএফআইয়ের অভিযোগ তাদের মারধর করেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
আইসি সহ পুলিশ নীরব দর্শক হয়ে দেখেছে। আইসিকে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি এবং জেলা পুলিশ সুপারকে জেলা সভাপতি বলে কটাক্ষ।মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের পিপলা কলেজের ঘটনা।এদিন এই কলেজের এসএফআই ইউনিটের পক্ষ থেকে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। বাম ছাত্র সংগঠনের কর্মীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। এই ঘটনায় তারা রাজ্য সরকারকে দায়ী করে। স্লোগান তুলে দফা এক দাবি এক মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয় আগামীকাল অরাজনৈতিক ভাবে প্রতিবাদ হবে। এই ভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কটুক্তি মূলক স্লোগান দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিবাদ করা যাবে না।এই নিয়ে বিবাদ থেকেই রণক্ষেত্র পরিস্থিতি।
ঘটনাস্থলে যায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। বাম ছাত্র সংগঠনকে সেখানে প্রতিবাদ সভা করতে না দেওয়া হলে তাদের নিয়ে সিপিএম নেতৃত্ব হরিশ্চন্দ্রপুর একটি প্রতিবাদ মিছিল করে। সেখান থেকেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি এবং মালদা জেলার পুলিশ সুপারকে কটাক্ষ করে। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দাবি তাদের মারধর করা হয়েছে। প্রথম বর্ষের কলেজ ছাত্রছাত্রীদের জোর করে আনছিল এসএফআইয়ের বহিরাগতরা। মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে অশালীন ভাবে কটুক্তি করছিল। তাই তারা প্রতিবাদ করেছিল। সমগ্র ঘটনায় যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।