আপনার নিউজ ডেক্স:- দেশের প্রতিটি প্রান্ত থেকে জানানো হচ্ছে প্রতিবাদ। আরজি কর কান্ড নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন সবাই। রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপি ইতিমধ্যেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। শ্যামবাজারে ধর্না কর্মসূচির অনুমতি চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। তবে অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। অবশেষে কলকাতা হাই কোর্টে শ্যামবাজারের ধর্নার অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার থেকে টানা পাঁচ দিন এই কর্মসূচি করতে পারবে তারা। কর্মসূচির দৈনিক সময়ও স্থির করে দিয়েছে আদালত। ওই পাঁচ দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্না কর্মসূচি চালানো যাবে। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজশ্রী ভরদ্বাজ। যদিও ধর্নার নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে আদালতের পক্ষ থেকে। নির্ধারিত পাঁচ দিন দুপুর ১২টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ধর্না কর্মসূচি চালানো যাবে।
তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে তরুণী চিকিৎসক ছাত্রীর মৃত্যুকে ঘিরে নোংরা রাজনীতি করছেন রাজ্যের বিরোধী দলগুলো। তদন্তভার এখন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। রাজ্যের পুলিশ সব ধরনের সহায়তা করছে সিবিআই কে। যদিও বিজেপির অভিযোগ রাজ্য সরকার এই ঘটনায় কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে। রবিবার বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে ধারাবাহিক ভাবে পথে নামবে বিজেপি। এর আগেও আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে ধর্না কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। গত শুক্রবার শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশনের ১ নম্বর গেটের কাছে ওই কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল সুকান্তেরও। কিন্তু বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয় যে, তাদের ধর্নামঞ্চ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ওই একই জায়গায় ফের মঞ্চ বাঁধতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বেশ কয়েক জন বিজেপি নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।