আপনার নিউজ ডেক্স:- সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্রদের আন্দোলন ঘিরে আবার উত্তাল হল বাংলাদেশ।চলল গুলি, আহত ৫। আন্দোলনকারীদের যৌথমঞ্চ, ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর পূর্বঘোষিত মিছিল কর্মসূচি ঘিরে এ বার রক্তাক্ত বাংলাদেশের কুমিল্লা শহর।
দেশটির গণমাধ্যমের তথ্য অনুসারে, শনিবার কুমিল্লা শহরে কোটা সংস্কারপন্থী পড়ুয়াদের মিছিলে গুলি চালিয়েছে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা। ওই ঘটনায় অন্তত পাঁচ জন আন্দোলনকারী গুরুতর জখম হয়েছেন। শাসকদল আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগ এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।
বিগত দুমাস ধরে ছাত্র আন্দোলন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। দেশটি সংবাদমাধ্যম অনুসারে সেই রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় ৩০০ জন। পরবর্তী সময়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের রায় শিথিল হয়েছিল আন্দোলন। হাসিনা সরকারের পক্ষ থেকে ছাত্র আন্দোলনকে দমন করার স্বার্থে ইন্টারনেট বন্ধ থেকে শুরু করে কারফিউ জারি করা হয়েছিল দেশটিতে। পরবর্তী সময়ে আন্দোলন শিথিল হলে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছিল বাংলাদেশ। তবে আবার সেই স্বাভাবিক ছন্দে বাধা টানলো এই আন্দোলন।
কুমিল্লার ছাত্র আন্দোলনে রেসকোর্স এলাকায় গুলিবিদ্ধ পড়ুয়াদের স্থানীয় কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক শেখ ফজলে রাব্বি শনিবার বিকেলে বলেন, ‘‘হাসপাতালে পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা তাঁদের চিকিৎসা করছি। তবে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কি না, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।’’ ঘটনার পরে মারমুখী আন্দোলনকারীরা কুমিল্লার চান্দিনায় উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেন বাংলাদেশের স্থানীয় সময় আজ দুপুর একটায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা তাঁদের ৯ দফা দাবিতে কুমিল্লা জিলা স্কুলের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফৌজদারি হয়ে পুলিশ লাইনসের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি রেসকোর্স এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা–কর্মীরা ধাওয়া দেন। এ সময় অন্তত ৩০টি গুলি করা হয়। এতে ছয়জন গুলিবিদ্ধ এবং ২০ জন আহত হন। এই সময় গুলিবিদ্ধ পাঁচ শিক্ষার্থীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা।