মালদা;তনুজ জৈন;০৯ডিসেম্বর: শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী। অত্যন্ত কষ্টের মধ্যে দিয়ে চলে সংসার। তাই আবাস যোজনার ঘরের জন্য যখন আবেদন করে ছিলেন কাটমানি চাওয়ার জন্য তিনি দিতে পারেন নি। যার জন্য নাম বাদ চলে গেছে তালিকা থেকে। এবার এলাকায় তৃনমূলের জেলা পরিষদ সদস্য যেতেই ঘরের দাবিতে অভিযোগ তুলে পা ধরে কেঁদে ফেললেন ওই ব্যক্তি। তার অভিযোগ নেতারা শুধু ভোটের সময় আসে। কিন্তু তারা এত দুস্থ হওয়া সত্বেও কোন সুবিধা পাচ্ছেন না সরকারের। না মিলছে ভাতা না পেয়েছেন ঘর। এই ঘটনা সামনে আসতে তৃণমূলকে ব্যাপক আক্রমণ বিজেপির। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যেক এলাকায় ঘুরছি দুস্থদের পরিস্থিতি দেখছি। তারা যাতে পায় প্রশাসনে কথা বলব সাফাই তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের মালিওর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত মালিওর গ্রামের বাসিন্দা মুকলেশুর রহমান। শারীরিক ভাবে প্রতিবন্ধী তিনি।ফলে তেমন কোন কাজ করতে পারেন না। সংসারের স্ত্রী এবং তিন সন্তান।বেড়া এবং টাটির দেওয়াল, উপরে ভগ্নপ্রায় টালির চালা।অভাবের অন্ধকার গ্রাস করেছে সংসারকে। কিন্তু পান না প্রতিবন্ধী ভাতা। নাম নেই আবাসের তালিকায়। সরকারি সাহায্য বলতে মিলে শুধু রেশন।তাতেই কোনোক্রমে আধপেটা দিন গুজরান করেন।
এদিন ওই এলাকায় কোন কোন দুস্থ পরিবার সরকারী সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত সেটা খতিয়ে দেখতে এদিন বাড়ি বাড়ি যান তৃণমূলের স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। তাকে সামনে পেয়ে ঘরের দাবিতে পা ধরে কেঁদে ফেলেন মুকলেশুর রহমান। বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে তিনি বলেন তার কাছে পঞ্চায়েত সদস্য ছয় হাজার টাকা কাটমানি চেয়ে ছিল তালিকায় নাম তোলার জন্য।তিনি দিতে পারেন নি বলে নাম বাদ গেছে। বুলবুল খান তাকে আশ্বাস দেন প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে নিয়ম অনুযায়ী সমস্ত সহযোগিতা করবেন। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতে বিজেপির অভিযোগ আবার প্লাস নিয়ে যে ব্যাপক দুর্নীতি এবং স্বজনপোষণ হয়েছে সেটা বারবার প্রমাণিত। তৃণমূল নেতাদের আত্মীয়দের নাম রয়েছে তালিকায়। কিন্তু এরকম দুস্থ মানুষরা বাদ গেছে। আর এখন তৃণমূল নাটক করছে। যদিও এই নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে বুলবুল খানের দাবী মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দিয়েছেন যাদের কাঁচা বাড়ি যারা দুস্থ প্রত্যেককে যাতে ঘর পায়। তাই তিনি এলাকায় এসেছেন। তারা জনপ্রতিনিধি মানুষ তাদের কাছেই দাবি করবেন। কিছু জায়গায় ভুল ভ্রান্তি হতে পারে। তিনি প্রশাসনিক মহলে কথা বলবেন দুস্থরা যাতে এভাবে বঞ্চিত না থাকে। এমন দৃশ্য সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।