মালদা;তনুজ জৈন;২৯সেপ্টেম্বর: রাজস্থান থেকে বাংলায় দিদির বাড়ি বেড়াতে এসে বাজার করতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার তিন মহিলা। প্রথমে টোটো তে উঠানোর জন্য ওড়না ধরে টানাটানি। প্রতিবাদ করলে পরবর্তীতে মাঝপথে আটকে দলবল নিয়ে মহিলাদের মারধর এবং পোশাক ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ। আক্রান্ত পুরুষ সদস্যরাও। অভিযুক্তরা তৃনমূল কর্মী বলে দাবি আক্রান্তদের। যদিও পাল্টা ওই পরিবারের বিরুদ্ধেও মারধরের অভিযোগ দায়ের থানায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন টোটো চালক। টোটো চালকের হয়ে সওয়াল অঞ্চল তৃনমূল সভাপতির। মহিলা বলে কি সব করতে পারবে প্রশ্ন তৃণমূলের? এই রাজ্যে কারোর সুরক্ষা নেই পাল্টা বিজেপি সাংসদ।
রবিবার দুপুরে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের তুলসীহাটায় ঘটনার সূত্রপাত। রাজস্থানের আজমীর জেলা থেকে তিন মহিলা তাদের ভাইকে নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুরের বাগমারা গ্রামের দিদির বাড়িতে আসে। দিদির অসুস্থতার কথা শুনে তারা দেখতে এসে ছিল। এখানে এসেই এদিন তুলসীহাটা হাটে যায় বাজার করতে। অভিযোগ বাজার করে বেরোনোর পথে তিন মহিলাকে এক টোটো চালক ওড়না ধরে টানাটানি করে। সেই সময় তাদের সঙ্গে থাকা পুরুষ সদস্যরা প্রতিবাদ করে। ঝামেলা বেঁধে যায়। কোনক্রমে তারা অন্য টোটো করে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।কিন্তু রাড়িয়ালের কাছে মাঝপথে ওই টোটো চালক দল বল নিয়ে তাদের আটকে দেয়। তিন মহিলাকে শ্লীলতাহানি করা হয়। পরনের পোশাক ছিঁড়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। সাথে থাকা পুরুষ সদস্যদের বেধড়ক মারধর করা হয়। আক্রান্ত পরিবারের দাবি অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী। যদিও অভিযুক্ত টোটো চালকের বাবার দাবী তার ছেলে শুধুমাত্র যাত্রীকে তোলার উদ্দেশ্যে তাদের ডেকে ছিল। সেই সময় তারা এসে বেধরক মারধর করে। তার ছেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্তে নেমেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। তুলসিহাটা অঞ্চল তৃনমূলের সভাপতি আবুল হোসেন আশরাফী অভিযুক্ত টোটো চালকের হয়ে সওয়াল করেছেন। তার মতে "মেয়ে হলেই যা খুশি করবে এটা মেনে নেওয়া যাবে না"। তারাই টোটো চালককে মারধর করেছে। পাল্টা উত্তর মালদার বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু সমগ্র ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন। তার দাবি এখানে জঙ্গলরাজ চলছে। জঙ্গলের জানোয়াররাও এত খারাপ আচরণ করে না।