মালদা;তনুজ জৈন;০৪নভেম্বর: দু চোখেই অন্ধ। বয়স প্রায় ৬০ বছর। সাথে দারিদ্রতার অন্ধকার গ্রাস করেছে সংসারকে। কোন ভাবে চেয়ে চিনতে দিনযাপন হয়। প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট থাকলেও মেলেনি ভাতা। ভাতার জন্য বারবার প্রশাসন থেকে শুরু করে জন-প্রতিনিধিদের দরবারে ঘোরাঘুরি করেছেন। কিন্তু তারপরেও চালু হয়নি।এবার তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য ওই বৃদ্ধের বাড়িতে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে গেলে ভাতা না পাওয়ার নিজের অভাব অভিযোগ জানালেন ঐ বৃদ্ধ। ভাতা করে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য। বৃদ্ধের প্রাপ্য ভাতা থেকে বঞ্চিত করে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয় কটাক্ষের সুর বিজেপির গলায়।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত কাউয়ামারি গ্রামের বাসিন্দা করিম মিয়া। দুচোখেই দেখতে পান না তিনি। বাড়িতে রয়েছে পাঁচ মেয়ে, এক ছেলে এবং স্ত্রী। মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেছে। ছেলে দিনমজুর।করিমের অন্ধকার পৃথিবীতে চারিদিকেই অন্ধকারময়। প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট রয়েছে। ভাতার জন্য বারবার আবেদন করেছেন। কিন্তু এখনো মিলছে না ভাতা। জন-প্রতিনিধি এবং প্রশাসনের দোরগোড়ায় ঘুরতে ঘুরতে জুতোর শুকতারা খোয়ে গেছে। এদিন করিম মিয়ার বাড়িতে আসেন জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান। ব্যক্তিগত ভাবে আর্থিক সাহায্য করেন তিনি। তাতে করিম মিয়া বুলবুল বাবুর কাছে ভাতা না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন। জানা গেছে জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান এর আগেও তার বাড়িতে এসে বেশ কয়েকবার সাহায্য করে গেছেন পাশাপাশি প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেটও করে দিয়েছেন। যদিও বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের আমলে কোন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় না। ভাতা ওনার প্রাপ্য। সেটা উনি পাচ্ছেন না। হঠাৎ করে এই ভাবে গিয়ে কিছু টাকা বা চাল ডাল দিয়ে সাহায্য করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। যদিও বুলবুল খান জানিয়েছেন তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত ভাতার ব্যবস্থা করবেন।
করিম মিয়া বলেন, আমি ভাতার জন্য আবেদন করলেও পাইনি। প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট আছে। দুই চোখেই দেখতে পাই না। দিন খুব কষ্ট করে চলে। বুলবুল বাবু আগেও এসেছেন। আজকেও এসে সাহায্য করলেন।
জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান জানান, আমি এর আগেও এখানে এসেছি। উনারাও আমাদের বাড়িতে যেতেন। যতটা পারি সাহায্য করি। ভাতা নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলব।
জেলা বিজেপি সম্পাদক রুপেশ আগরওয়ালার কটাক্ষ, ভাতা ওনার প্রাপ্য। কিন্তু উনি পাচ্ছেন না। এইভাবে সাহায্য করে সমস্যার সমাধান হবে না। তৃণমূলের আমলে কোন কাজ ঠিকভাবে হয় না।