মালদা;তনুজ জৈন;৩০সেপ্টেম্বর: বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মন্ত্রী এবং পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে জেলাশাসক। জানলেন বন্যা কবলিত এলাকার পরিস্থিতি। পর্যাপ্ত ত্রাণ পানীয় জল সহ চিকিৎসার ব্যবস্থার নির্দেশ দিলেন।বিহার নেপাল সীমান্তে কোষী নদী থেকে জল ছাড়তেই ফুলহর মহানন্দা নদীতে বেড়েছে জলস্তর। আর তারপর থেকে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে ২০১৭ সালের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের ফুলহার নদী তীরবর্তী উত্তর ভাকুরিয়া, দক্ষিণ ভাকুরিয়া, রশিদপুর, কাউয়াডোল সহ বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হতে শুরু করেছে। গতকাল ব্লক প্রশাসন, এবং স্থানীয় বিধায়ক তথা প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন ওই এলাকাগুলি পরিদর্শনে যান। সচেতনতার জন্য মাইকিং করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যেই সেখানকার মানুষকে উঁচু জায়গায় সরকারি হাই স্কুলে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ত্রাণ সামগ্রী। এদিন পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হরিশ্চন্দ্রপুরে আসেন জেলাশাসক নিতিন সিংহানিয়া। হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক দপ্তরে বিডিও তাপস পাল, মন্ত্রী তাজমুল হোসেন, আইসি মনোজিৎ সরকার সহ স্থানীয় জন-প্রতিনিধিদের নিয়ে রুদ্ধদার বৈঠক করেন। বন্যা পরিস্থিতির কথা জানেন। প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেন ব্লক প্রশাসনকে। পানীয় জলের জন্য করা হয় ৪৭ টি টিউবয়েলের ব্যবস্থা। এছাড়াও করা হবে মেডিকেল ক্যাম্প। ত্রাণ সামগ্রী আরো বেশি করে দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া বলেন, মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আমি বৈঠক করে সমস্ত পরিস্থিতি জানলাম। ত্রাণ পানীয় জল থেকে শুরু করে চিকিৎসা। সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন জানান,জেলাশাসক এসেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজ বৈঠক হলো। গতকাল আমরা পরিস্থিতি দেখে এসেছি।সব নিয়ে আলোচনা হল।