মালদা;তনুজ জৈন;৩০সেপ্টেম্বর: মালদহের তুলসীহাটার পর আবার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এলো। হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার ২ নম্বর ব্লকের একটি গ্রামের এক বিধবা গৃহবধূকে ঘরে ঢুকে ধর্ষণ এর চেষ্টার অভিযোগ উঠল এলাকারই এক প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ধর্ষণে বাধা দিতে গিয়ে গৃহবধূ বিছানার পাশে রাখা চাকু দিয়ে ওই যুবকের যৌনাঙ্গে আঘাত করেন। এবং গৃহবধূর চিৎকারে রক্তাক্ত যুবক পালিয়ে যায়।
ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকায়। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই গৃহবধূ। অভিযুক্ত যুবকের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে পুলিশ। স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায় হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক এলাকার একটি গ্রামে গত পরশুদিন নিজের বাড়িতে তিন ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন এক বিধবা মহিলা। স্বামী দীর্ঘ কয়েক বছর আগে গত হয়েছেন। পাখা এবং কাঁথা বুনে তিনি নাবালক ছেলে মেয়েদের নিয়ে কোন রকমে সংসার চালান। রাত আটটা নাগাদ অভিযুক্ত যুবক ওই মহিলার বাড়িতে যায়। এরপরই ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত ওই মহিলার উপর চড়াও হয় এবং ধর্ষণের চেষ্টা করে। এরপরই ওই মহিলা তার বিছানার পাশে রাখা কাঁথা বোনার চাকু দিয়ে ওই যুবকের যৌনাঙ্গে আঘাত করেন। এরপরই মহিলা চিৎকারে রক্তাক্ত যুবক ঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে ঘটনার অভিযোগ জমা পড়েছে সমস্ত ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পলাতক যুবকের খোঁজে বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি চলছে।
নিগৃহীত মহিলা জানান আমি রাত্রে বেলা ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। এমন সময় ওই যুবক অতর্কিত ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আমার মুখ চেপে ধরে প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে আমার কাপড় খোলার চেষ্টা করে যৌনাঙ্গে হাত দেয়। এবং বিছানার উপর চেপে ধরে। এরপরেই আর কোন উপায় না দেখে বিছানাতে রাখা কাঁথা সেলাই করার চাকু দিয়ে ওই যুবকের শরীরে আঘাত করি। তারপরেই ও আমার মুখের উপর থেকে হাত সরিয়ে নিলে আমি চিৎকার শুরু করলে ওই যুবক পালিয়ে যায়। এরপরই গ্রামবাসীরা ছুটে আছে তাদেরকে সমস্ত ঘটনা জানালে তারা ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে তাকে খুঁজে পাইনি। সে পলাতক আমি এই বিষয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ করেছি। আমি এর বিচার চাই।