মালদা;তনুজ জৈন;২৪সেপ্টেম্বর: বিদ্যালয় তহবিলের টাকা থেকে লাগবে আর্থিক সুবিধা। দিতে হবে কাটমানি। না হলে কোন বিলে স্বাক্ষর করবেন না তিনি।কিন্তু সভাপতির এমন অনৈতিক দাবি মেনে নেন নি প্রধান শিক্ষক এবং কমিটির অন্যান্য শিক্ষক সদস্যরা। যার কারণে তৈরি হয় সংঘাত। নিজের পদের অপব্যাবহার করে স্কুলে অচল অবস্থা তৈরি করার বিস্ফোরক অভিযোগ উঠল তৃণমূল নির্বাচিত স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। বিপাকে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তৃণমূলের জন্য শিক্ষা দপ্তর ঘুঘুর বাসায় পরিণত হয়েছে। এরা কোন জায়গা থেকে টাকার ভাগ ছাড়ছে না আক্রমণ বিজেপির।পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। শিক্ষা দপ্তরের দ্বারস্থ প্রধান শিক্ষক।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের বারদুয়ারি হাই স্কুলের ঘটনা। প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক সদস্যদের অভিযোগ তৃণমূল নির্বাচিত ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অপর্ণা ঘোষ এবং তার স্বামী যুব তৃণমূল নেতা মনোতোষ ঘোষ স্কুলের ফান্ড থেকে টাকার দাবি করছেন। কিন্তু তারা সেই অনৈতিক দাবি মানবেন না। এদিকে টাকা না পাওয়ায় কোন রকম রেজুলেশনে সই করছেন না সভাপতি। যার কারণে স্কুলের বিভিন্ন কাজ আটকে রয়েছে। এমনকি যারা চুক্তি ভিত্তিক শিক্ষক কর্মী এবং সাফাই কর্মীদের বন্ধ রয়েছে তাদের বেতন। থমকে গেছে স্কুলের উন্নয়ন। যার ফলে তৈরি হয়েছে ব্যাপক অচলাবস্থা। স্কুল কর্তৃপক্ষ জেলা শিক্ষা দপ্তরেও বিষয়টি জানিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অভিযোগ শেষ বৈঠকেও সভাপতি বলেছেন তার দিকে না দেখলে তিনি কোন কিছু করবেন না। অর্থাৎ তাকে টাকা দিতে হবে। যদিও সভাপতির স্বামী তথা যুব তৃণমূল নেতা দাবি করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির শিক্ষক সদস্যরা ব্যাপক দুর্নীতি করেছেন। তিনি সেই দুর্নীতি ফাঁস করবেন। তাই তার বিরুদ্ধে এই ধরনের মিথ্যে অভিযোগ আনা হচ্ছে। বিজেপির কটাক্ষ জল মাটি থেকে শুরু করে সব বিষয়ে তৃণমূল কাটমানি নেয়। এক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম নেই। এই ভাবে স্কুলের ক্ষতি করছে। অন্যদিকে জেলা তৃণমূল মুখপাত্র আশীষ কুন্ডুর দাবি শিক্ষা দপ্তরের নির্দিষ্ট নিয়ম নীতি রয়েছে। কোন একটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি যদি সেটাকে না মানেন। তবে জেলা শিক্ষাকর্তা সঠিক ব্যবস্থা নেবেন। এক্ষেত্রে দলের কোন ব্যাপার নেই।