আপনার নিউজ ডেক্স :- তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করায় ঘটনায় মহামান্য আদালতের নির্দেশ অনুসারে তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এর মাঝে গত ১৪ই আগস্ট নির্ভয়ার দোষীদের ফাঁসির দাবিতে পশ্চিমবঙ্গের মা বোনেরা রাত দখলে আন্দোলনে নেমেছিলেন। আর সেই রাতে কিছু দুষ্কৃতী আরজি করে ভাঙচুর চালায়। অভিযোগ ওঠে প্রমাণ লোপাট করার। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে হয়। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় শুনানি রয়েছে।
এখনো পর্যন্ত তদন্ত কোন পর্যায়ে তা নিয়ে স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে সিবিআই। এর পাশাপাশি ১৪ ই আগস্ট রাতে আরজি করে ভাঙচুরের ঘটনায় তদন্ত কোন পর্যায়ে তা নিয়ে আলাদা স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দেবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং কলকাতা পুলিশ। গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে আরজি কর মামলার শুনানি হয়। শুনানির প্রথম থেকেই সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। প্রশ্ন ওঠে আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ভূমিকা নিয়েও। তবে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা নিয়ে শুরুতেই উষ্মাপ্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। ভাঙচুরের ঘটনায় প্রধান বিচারপতি বলেন, “প্রথমে ঠিক ভাবে এফআইআর করা হয়নি। পুলিশ কী করছিল? একটা হাসপাতালের মধ্যে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল। পুলিশ তখন কী করছিল?”
গত ১৪ তারিখে আরজি করে হামলার ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কি ভূমিকা পালন করেছে এবং তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ করে হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্ত কতটা এগিয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য আজ জমা দেওয়া হবে সুপ্রিম কোর্টে।