আপনার নিউজ ডেক্স:- রাজ্যে গত ৯ আগস্ট ঘটে যাওয়া আরজি করের ঘটনায় উত্তাল রাজ্য। এই ঘটনার তদন্ত শুরু সিবিআই। তবে কে প্রথম দেখেছিলেন তরুণী চিকিৎসকের মৃতদেহ, সেই উত্তর এখনো অধরা সিবিআই এর কাছে। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, আপাতত এই উত্তর খুঁজতেই কালঘাম ছুটছে তদন্তকারী সংস্থার। প্রথম দিন থেকেই অভিযোগ উঠছিল, তবে কি কারও নাম গোপন করতেই এ সব করা হচ্ছে? সংশ্লিষ্ট লোকজন বলছেন, সেই প্রশ্ন এখনও সমান প্রাসঙ্গিক। আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের প্রশ্ন, নাম গোপন করার রহস্য কি ভেদ করতে পারছে না সিবিআই-ও?
সংবাদ মাধ্যমে খবর অনুসারে, কলকাতা পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছিল, চিকিৎসকের দেহ প্রথম দেখা গিয়েছিল, বেলা সাড়ে ৯টা নাগাদ। দাবি, পুলিশের কাছে নাকি খবর পৌঁছয় বেলা ১০টা ১০ মিনিটে। পুলিশ সূত্রে বলা হয়েছিল, এর পরে টালা থানা থেকে অফিসার গিয়ে ওই হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বে থাকা কর্মীদের নিয়ে ঘটনাস্থল অর্থাৎ সেমিনার রুমে যান। এর পরে একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতা পুলিশের কর্তারা। কিন্তু প্রথম কে মৃতদেহ দেখেছেন, সেই তথ্য তখন পুলিশের কাছেও স্পষ্ট হয়নি বলেই সূত্রের খবর। তদন্তের দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্তার দাবি, ‘‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল, কে এই কাণ্ড ঘটিয়েছে, তাকে ধরা। কে প্রথম মৃতদেহ দেখলেন, তা নিয়ে তখন স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি। তার মধ্যেই সিবিআই-কে তদন্তভার দিয়ে দেওয়া হয়।’’
সূত্রের খবর, টানা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করার পরে সে দিনই তরুণীর ইউনিট বদল হওয়ার কথা ছিল। সকাল ৮টায় ইউনিট বদল হয় ওই হাসপাতালে। ফলে নতুন ইউনিটে যাঁরা ছিলেন, তাঁরা কেউ তরুণীর খোঁজ করলেন না কেন? আন্দোলনকারী চিকিৎসকেরাই দাবি করছেন, ‘‘তরুণী নিজের ইউনিটের সবচেয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন। সকাল থেকে তো তাঁকে ইউনিটে আসা রোগীর অবস্থা দেখতে বা রিপোর্ট দেখতে ডাকার কথা। কেউ তাঁর খোঁজ করলেন না?’’ জানা যাচ্ছে, নতুন ইউনিটের সদস্যরা নাকি খোঁজ করেছিলেন দায়িত্বভার বুঝে নেওয়ার জন্য। কিন্তু সেটা বেলা সাড়ে ১০টার পরে। কেন এত দেরিতে সে দিন ইউনিট বদল হয়েছিল? স্পষ্ট উত্তর নেই।