ক্রমাগত এলাকায় থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গি, আক্রান্তের সংখ্যা ৭, তার মাঝেই নর্দমা পরিষ্কার না হওয়া নিয়ে অভিযোগ এলাকাবাসীর, সেখানে জমা জল থেকেই ছড়াচ্ছে মশার লার্ভা, ডেঙ্গি আক্রান্তের বাড়িতে গিয়ে সচেতনতার বার্তা স্বাস্থ্য দপ্তর এবং ব্লক প্রশাসনের।
মালদা;তনুজ জৈন;২৩আগস্ট: এলাকায় থাবা বসাচ্ছে ডেঙ্গি। নতুন করে ফের একজন ডেঙ্গি আক্রান্ত।এই নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা সাত। আতঙ্ক ছড়াচ্ছে এলাকাবাসীর মধ্যে। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ সঠিক ভাবে নিকাশী নালা পরিষ্কার হচ্ছে না। বৃষ্টির ফলে জমে থাকতে জল।যার ফলে ছড়াচ্ছে মশার লার্ভা। এদিকে ডেঙ্গু আক্রান্তের বাড়িতে গিয়ে এবং তার পাড়ার মানুষের সঙ্গে কথা বলে সচেতনতার বার্তা দিলো প্রশাসন। নিজেদের বাড়ি পরিষ্কার রাখা থেকে শুরু করে ডেঙ্গুর উপসর্গ নিয়ে করা হলো আলোচনা।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরে এই মুহূর্তে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সাত।নতুন করে সদরের থানাপাড়া এলাকায় একজন ব্যক্তি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন। যিনি এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। চিন্তার ভাজ স্বাস্থ্য দপ্তরের কপালে। তবে আশার আলো যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। এদিন থানাপাড়া এলাকায় যান হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক অমলকৃষ্ণ মন্ডল এবং যুগ্ম ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মহম্মদ আলী রুইন। তারা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন। ডেঙ্গু রোধে সচেতনতার বার্তা দেন। সাথে কি কি উপসর্গ দেখা গেলে ডাক্তার দেখাতে হবে সেই নিয়েও আলোচনা করেন। এদিকে থানাপাড়ার মানুষের অভিযোগ এলাকায় চার বছর আগে একটি নর্দমা তৈরি হয়েছিল।পরিষ্কার না হওয়াই সেই নর্দমা বুজে গেছে। সেখানে জমে থাকছে জল। সেই জলে জন্ম নিচ্ছে মশার লার্ভা। দ্রুত এলাকা পরিষ্কারের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।যদিও তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধি দুর্জয় দাস জানান এর আগে নর্দমা পরিষ্কার করা হতো।কিন্তু বর্তমানে জোটের দখলে থাকা পঞ্চায়েত প্রধানকে বলা হলে তিনি কর্ণপাত করছেন না। তবে তারা চেষ্টা করবেন দ্রুত পরিষ্কার করার।