আপনার নিউজ ডেক্স:- আজি কর তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনার পর সেই কলেজের অধ্যক্ষ(বর্তমানে প্রাক্তন) সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ জনসমক্ষে আসে। এই ঘটনা যেন গোটা রাজ্যের প্রতিচ্ছবি। বেরিয়ে আসছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একের পর এক দুর্নীতি। মৃতদেহ বিক্রি থেকে পাশ করানো, সবেতেই যে টাকার খেলা হয়েছে, তাও বেশ স্পষ্ট। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রমাণ পাওয়াও যে খুব শক্ত নয়, তাও বেশ জানেন স্বাস্থ্য ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রকরা। সেই কারণেই ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লেগেছেন কেউ কেউ। ডাক্তারি শিক্ষায় এমন দুর্নীতি হতে পারে তা হয়তো কল্পনা করতে পারেনি কেউ।
এবার দুর্নীতিতে নাম জড়ালো উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের (North Bengal Medical College)। মোটা টাকার বিনিময়ে পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রথা চলছে বছরের পর বছর ধরে। দাবিমতো টাকা না দিলে ফেল করিয়ে দেওয়ার নজিরও রয়েছে বলে খবর। কিন্তু ওই রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কোনওদিনই সেভাবে মুখ খোলার সাহস পাননি কেউ। আরজি কর কাণ্ডের পর এখানকার ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশই এখন বলতে শুরু করেছেন, ‘এ আর নতুন কী!’
সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুসারে,শুধু পাশ করিয়ে দেওয়াই নয়, পরীক্ষার (Medical Entrance Exam) প্রশ্নপত্রও আগাম হোয়াটসঅ্যাপে অথবা ফোটোকপি করে পৌঁছে দেওয়া হত পরীক্ষার্থীদের কাছে। পরীক্ষার খাতায় যাই লিখুন না কেন, নির্দিষ্ট সেই পরীক্ষার্থীকে দু’হাত ভরে নম্বর দেওয়া হত। সবটাই হত দাবিমতো টাকা দিলে। আর এই চক্করে পড়েই ভালো পড়ুয়ারা স্রেফ দাবি পূরণ করতে না পেরে কম নম্বর পেয়ে পিছিয়ে পড়েছেন। এমনটাই দাবি করেছেন ডাক্তারি পড়ুয়াদের একাংশ।
আরজি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষের নাম জড়ানোর পরেই উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের এক লবি সক্রিয় হয়ে ওঠে। সন্দীপ ঘোষের সমর্থনে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে স্লোগান শোনা যায়। উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে স্লোগান ছিল, ‘পাশে আছি আরজি কর, পাশে আছি ডাক্তার প্রফেসার সন্দীপ ঘোষ স্যর।’ কিন্তু সন্দীপকে সিবিআই জেরা শুরু করতেই এখানকার ঘনিষ্ঠদের মুখ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
যদিও এই অভিযোগ কে পুরোপুরি নস্যাৎ করে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের স্টুডেন্টস অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ডিন ডাঃ সন্দীপ সেনগুপ্ত বলছেন, ‘আমার ধারণা, এখানে এমন ঘটনা ঘটেনি। আমি তিন বছর পরীক্ষক এবং কনভেনার ছিলাম। সেই সময় এসব আমার নজরে আসেনি। তবে, আমাদের এড়িয়ে কেউ কিছু করে থাকলে বলতে পারব না।’