Type Here to Get Search Results !

আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে ধরণা কর্মসূচি থেকে বেফাস মন্তব্য তৃণমূল নেতা-নেত্রীর, ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী বিজেপি নেতাদের খুঁটিতে বেধে রাখার নিদান দিলেন

আরজিকর কান্ডের প্রতিবাদে ধরণা কর্মসূচি থেকে বেফাস মন্তব্য তৃণমূল নেতা-নেত্রীর, ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী বিজেপি নেতাদের খুঁটিতে বেধে রাখার নিদান দিলেন, আবার তৃণমূল জেলা পরিষদ সদস্য বিরোধীদের বাড়ি ঘেরাওয়ের নির্দেশ দিলেন, তথ্য প্রমান লোপাট করে এখন রাস্তায় নাটক করতে নেমেছে তৃণমূল পাল্টা তীব্র প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের।


মালদা;তনুজ জৈন;৩১আগস্ট: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে আরজিকর কান্ডে দোষীদের ফাঁসির দাবিতে শনিবার বিকেলে ধরনা কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। সেই কর্মসূচি থেকে এই ঘটনায় রাজনীতির প্রতিবাদে সরব হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। আক্রমণ করেছে বিজেপি সহ বিরোধী দলকে।কিন্তু সেখান থেকেই আক্রমণ করতে গিয়ে বেফাস তৃণমূল নেতা-নেত্রীরা।এক তৃণমূল নেতা নিদান দিলেন বিজেপি সহ বিরোধীদের বাড়ি ঘেরাও করার।আবার আরেক ধাপ এগিয়ে এক তৃণমূল নেত্রী বিজেপি নেতাদের খুঁটিতে বেধে রাখার নিদান দিলেন। যে মন্তব্য নিয়ে রীতিমতো শোরগোল পরেছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। তীব্র আক্রমণ করেছে বিরোধীরা। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (বি) ব্লক তৃণমূলের ধরনা কর্মসূচি হয় তুলসীহাটায়। সেখানে মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ব্লক তৃণমূলের সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্যা মর্জিনা খাতুন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন বিজেপি নেতাদের খুঁটিতে বেধে রাখুন। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ বিজেপি সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করছে। নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দা করতে চাইছে। তাই তিনি এই ধরনের মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর সদরে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ (এ) ব্লক তৃণমূলের বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়। সেখান থেকে জেলা পরিষদ সদস্য তথা জেলা তৃণমূলে সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান বিজেপি সহ বিরোধীদের বাড়ি ঘেরাও করার নিদান দেন। তার দাবি তদন্ত এখন সিবিআই করছে। আর বিজেপি ছাত্র সমাজের নাম দিয়ে নবান্ন অভিযানের নাটক করছে। তাই বিচারের দাবিতে তাদের বাড়ি ঘেরাও করা উচিত। যদিও পাল্টা বিরোধীদের অভিযোগ যে পুলিশ তথ্য প্রমান লোপাট করেছে। প্রথমে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আর এখন সব কিছু সামনে আসাই নাটক শুরু করেছে।


ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন বলেন, বিজেপি বলছে নাকি ১৮-১৯ জন ধর্ষণ করেছে। সম্পূর্ণ মিথ্যাচারের রাজনীতি। পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। কিন্তু সিবিআই কি করছে। তাই আমি এই মন্তব্য করেছি।


জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান বলেন, ছাত্র আন্দোলনের নামে সেদিন দেখা গেছে কি রাজনীতি হয়েছে। একেক জন ছাত্র নিজেদের ক্লাস বলতে পারছে না।এখন তো তদন্ত সিবিআই করছে। তাই বিজেপি সহ বিরোধী নেতাদের বাড়ি ঘেরাও করা হোক।


বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়ালের কটাক্ষ, প্রথমে এটাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হয়েছিল। সম্পূর্ণ তথ্য প্রমান লোপাটের চেষ্টা হয়েছে। মানুষ সব বুঝতে পারছে। তাই সব যখন সামনে আসছে তৃণমূল নাটক করছে।


সিপিএম নেতা প্রণব দাস বলেন, এদের নিজেদের কোন ঠিক নেই। সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য দপ্তর দুর্নীতিতে ভর্তি। এই ঘটনায় প্রথম থেকে রাজ্য সরকার ঘটনাকে ঘরানোর চেষ্টা করেছে। এখন রাস্তায় নেমে নাটক করছে।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side