মালদা;তনুজ জৈন;০১সেপ্টেম্বর: মাখনা সমৃদ্ধ এলাকায় প্রথম সরকারিভাবে উদ্যোগ।উদ্বোধন হলো মাখনা প্রসেসিং ইউনিট।কিন্তু সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। এক জেলা পরিষদ সদস্য আমন্ত্রণ পেলেও আমন্ত্রণ পেলেন না আরো দুই জেলা পরিষদ সদস্য। ব্রাত্য থেকে গেলেন কৃষি কর্মাধ্যক্ষ। যদিও ব্রাত্য থাকার তৃণমূল নেতা নেত্রীরা প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা মানতে নারাজ। তাদের দাবি তাদের ডাকা হয়নি বলে তারা যায়নি।
অন্যদিকে বিজেপির কটাক্ষ যেখানে তৃণমূলের জন-প্রতিনিধিরাই প্রাপ্ত। সেখানে বিরোধীদের তো ডাকা হবে না এটাই স্বাভাবিক। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। মালদা জেলা তথা হরিশ্চন্দ্রপুরের অন্যতম অর্থকরী ফসল মাখনা কে কেন্দ্র করে এতদিন বেসরকারি স্তরে প্রক্রিয়াকরণ হয়ে আসছিল। এবারে রাজ্য সরকারের এম এস এমই দপ্তরের উদ্যোগে মালদা জেলা তথা রাজ্যের মধ্যে প্রথম সরকারি উদ্যোগে মাখনা প্রসেসিং ইউনিটের উদ্বোধন করা হলো হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। সরকারি উদ্যোগে এ ধরনের প্রকল্প জেলায় প্রথম বলে দাবি প্রশাসনের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এলাকার বিধায়ক তাজমুল হোসেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রেজিয়া সুলতানা, জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান, বিরোধী দলনেতা মকরম আলী এবং জেলা শিল্প উন্নয়ন নিগমের আধিকারিকরা।
এ দিন হরিশ্চন্দ্রপুর থানাপাড়া এলাকায় এই ইউনিটের উদ্বোধন করা হয়। শিল্প উন্নয়ন দপ্তর সূত্রে জানা গেছে আপাতত একটি ইউনিট দিয়ে এই প্রকল্প শুরু হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরও ইউনিট বসানো হবে। আপাতত এখানে কম খরচে মাখনার খৈ তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন দপ্তরের কর্তারা। ভবিষ্যতে এখানে খই তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যদিও এই অনুষ্ঠানে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এমনকি শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অভিযোগ এই অনুষ্ঠানে ডাক পাননি জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন সহ বিরোধী দলের কোন জন-প্রতিনিধি। আর এখান থেকেই সামনে এসেছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের চিত্র।