ভারত রাশিয়া সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। সোভিয়েত ইউনিয়ন সময়কাল থেকে রাশিয়া ভারতের বন্ধুদেশ হিসেবে পরিচিত গোটা বিশ্বে। মোদির ইউক্রেন সফর সেই বন্ধুত্বে ফাটল ধরাবে না তো? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে আন্তর্জাতিক মহলে। ইতিমধ্যেই পাকিস্তান রাশিয়ার সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করার চেষ্টা চালাচ্ছে।
১৯৯১ সালের পর এই প্রথম ভারতের কোনও প্রধানমন্ত্রী ইউক্রেনে এলেন। রাশিয়ার হামলা শুরুর পরে অবশ্য একাধিক বার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গে তাঁর আলোচনা হয়েছে। গত ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়া সফরে গিয়েছিলেন মোদী। মনে করা হচ্ছে, কূটনৈতিক ক্ষেত্রে ভারসাম্যের বার্তা দিয়েই এ বার রাশিয়ার শত্রু দেশে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সমালোচকেরা অবশ্য বলছেন, আমেরিকা-সহ পশ্চিমি দুনিয়াকে সন্তুষ্ট করতেই তাঁর এই সফর।
ভারত বরাবর যেকোনো যুদ্ধের বিরোধিতা করে এসেছে। তবে রাশিয়ার ভারতের প্রতি অবদান কম নয়। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি জ়েলেনস্কি বহুবার ভারতকে অনুরোধ করেছে মধ্যস্থকারী হওয়ার জন্য। তবে ডিপ্লোম্যাটিক চিন্তা ধারায় ভারত তা করেনি। মোদির এই সফর নিয়ে ইতিমধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেবে না ভারত। তবে শান্তি ফেরানোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বার্তা সমন্বয়ের দায়িত্ব নিয়ে রাজি নয়াদিল্লি। এই আবহে মোদীর কিভ সফরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়া নিয়েও জ়েলেনস্কির সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বসে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে।