সুশোভন সিংহ ; আপনার নিউজ :- তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসেছেন নরেন্দ্র মোদি। বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক বঞ্চনা নিয়ে সড়ক হয়েছেন অভিষেক থেকে মমতা। লোকসভা ভোটের আগে গত ২০ ডিসেম্বর দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কথা হয়েছিল রাজ্যের পাওনা দাবি দাবা নিয়ে। তবে গঙ্গা দিয়ে অনেক জল অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। সূত্রে খবর দিল্লি সফরে থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে সাক্ষাৎ করতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সচিবালয়ের তরফে চিঠি পাঠানো হয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী অফিস থেকে কোন প্রকার জবাব দেওয়া হয়নি। আগামী ২৭ জুলাই নীতি আয়োগের গভর্নিং কাউন্সিলের নবম বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে দিল্লিতে যাচ্ছেন মমতা। সূত্রের খবর, নীতি আয়োগের বৈঠকের আগে বা পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, বকেয়া কেন্দ্রিক রাজ্যের হিসাবে তা ১ লক্ষ কোটি টাকার বেশি। শুধু একশ দিনের কাজ আর আবাস যোজনা মিলিয়ে বকেয়া পাওনার অঙ্ক প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা। শুধু তা নয়, বাংলায় একশ দিনের কাজ কর্মসূচি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। রাজ্য সরকার নিজের সাধ্যমতো যতটা পারছে কাজ দিচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র এই খাতে আর ১ টাকাও বরাদ্দ করছে না বলে বারংবার অভিযোগ করা হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
লোকসভা ভোট চলাকালীন রাজ্যের পক্ষ থেকে বলা হয়ে বঙ্গ বিজেপির একাংশ নেতার অঙ্গুলি হেলোনে কেন্দ্র রাজ্যের বকেয়া টাকা মেটাচ্ছে না। অভূতপূর্বভাবে গত ১২ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মত বাংলার প্রতি কেন্দ্রের আর্থিক অনুদান ও বরাদ্দ আটকাতে এখনও মরিয়া রাজ্য বিজেপি। কারণ, তাঁরা মনে করছে, প্রশাসনিক ভাবে তৃণমূল সরকার ব্যর্থ হলে তাঁদের রাজনৈতিক সুবিধা হতে পারে।