রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর গড়ে এবার পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া তৃণমূলের,দখল করল কংগ্রেস সিপিএম জোট,পঞ্চায়েত সমিতি হাতছাড়া হতেই বিডিওকে দালাল বলে কটাক্ষ, দায়ী করা হল ব্লক নেতৃত্বকেই, হারের জ্বালায় ভুল বকছে তৃণমূল পাল্টা জবাব বিরোধীদের
মালদা;তনুজ জৈন;২২আগস্ট: একের পর এক ধাক্কা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর।প্রথমে জেলা পরিষদে ভাইয়ের হার, তারপরে ৪ টি গ্রাম পঞ্চায়েত হাত ছাড়া এবং সর্বশেষ পঞ্চায়েত সমিতিও হাতছাড়া। সাম-দাম-দণ্ড-ভেদ। সব রকম প্রচেষ্টার পরেও ডাল গল্লো না। জোটের কাছে ধরাশায়ী তৃণমূল।হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল কংগ্রেস-সিপিএম জোট।
হারের কোপ পরল বিডিওর উপর। বিডিও কে দালাল বলে কটাক্ষ। সাথে ব্লক নেতৃত্ব কেও দায়ী করল তৃণমূলের জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা।পাল্টা খোঁচা জোট নেতৃত্বের। কঠোর পুলিশে নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সম্পন্ন হল বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া।ব্যাপক উত্তেজনা এলাকায়।তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।প্রসঙ্গত মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া ছিল। ২১ আসন বিশিষ্ট হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতিতে ১১ টি তে আসনে জিতেছিল কংগ্রেস-সিপিএম জোট।আর ১০ টি আসন গেছিল তৃণমূলের ঝুলিতে।পঞ্চায়েত সমিতি দখলের জন্য মরিয়া প্রচেষ্টা করেছিল শাসকদল। জোটের জয়ী প্রার্থীদের গোপন শিবির কে লক্ষ্য করে উঠেছিল গুলি চালানোর অভিযোগ।চলতি মাসের ১৪ তারিখ নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া স্থগিত করেছিল প্রশাসন। শনিবার সকাল থেকেই ব্লক চত্বর জুড়ে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী। উভয় পক্ষেরই প্রচুর কর্মী-সমর্থক জমায়েত ছিল।নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী শুরু হয় বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া।এগারো - দশ ব্যবধানে ভোটে জিতে সভাপতি তহমিনা খাতুন এবং সহ সভাপতি আব্দুল তাহের নির্বাচিত হয় জোটের পক্ষ থেকে। যদিও পঞ্চায়েত সমিতি হাত ছাড়া হওয়া যেন হজম হচ্ছে না শাসকদলের।বোর্ড হাতছাড়া হতেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী সদস্য স্বপন আলী দোষারোপ করলেন প্রশাসনকে। জোটের দালাল বললে কটাক্ষ করলেন বিডিও কে ।সাথে স্বপন আলীর অভিযোগ এই হারের জন্য দায়ী তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্বও। হারের জ্বালায় ভুল বকছে তৃণমূল পাল্টা জবাব জোটের। কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। যা নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।