পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভরাডুবির পরেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে ঘিরে কর্মিসভায় বিক্ষোভ ও হাতাহাতি, ভাইরাল ভিডিও, তারপরেই প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ, বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে টিকিট দিয়ে ছিলেন ব্লক সভাপতি, চরম অসস্তিতে শাসকদল, খোঁচা বিরোধীদের
মালদা;তনুজ জৈন;২১আগস্ট: একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হয়েছে দলের।সমগ্র ব্লকেই কার্যত পর্যদুস্থ হয়েছে তৃণমূল।এবার পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শেষ হতেই ব্লক সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা। প্রথমে কর্মী সভায় ব্লক সভাপতি কে ঘিরে বিক্ষোভ। প্রায় হাতাহাতির পরিস্থিতি। ভাইরাল সেই ভিডিও।
তারপরেই প্রকাশ্য রাস্তায় ব্লক সভাপতিকে সরানোর দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ।বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের টিকিট দিয়েছেন ব্লক সভাপতি এবং অঞ্চল সভাপতি। যোগ্য ব্যক্তিরা ভোটের সময় দলে জায়গা পায়নি। যার ফল ভুগতে হয়েছে দলকে।হাত ছাড়া হয়েছে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত।প্রসঙ্গত মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে ৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই হেরেছে তৃণমূল।জেলা জুড়ে ভালো ফলাফলের পরেও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের এই ফলাফল চিন্তায় ফেলেছে জেলা নেতৃত্বকে।তার মধ্যে এবার বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীরা হরিশ্চন্দ্রপুর ১ বি ব্লক সভাপতি মানিক দাস এবং অঞ্চল সভাপতি মিন্টু দাসকে সরানোর দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন।বিক্ষোভ থেকে স্লোগান উঠলো "মানিক হাটাও তৃণমূল বাঁচাও"। যে বিক্ষোভের জেরে ব্যাপক অস্বস্তিতে শাসক দল। প্রসঙ্গত, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক কে সাংগঠনিক ভাবে দুই ভাগে ভাগ করেছিল তৃণমূল। যার মধ্যে চাঁচল বিধানসভার অন্তর্গত চারটি অঞ্চলকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল হরিশ্চন্দ্রপুর ১(বি)ব্লক। যেখানে দায়িত্ব ছিলেন মানিক দাস। কিন্তু এই চারটি অঞ্চলের মধ্যে রশিদাবাদ ছাড়া ৩ টি অঞ্চলেই পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হয়েছে তৃণমূলের।আর তারপরেই ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে কর্মীদের এই বিক্ষোভ।ভরা রাস্তায় প্রকাশ্যে শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দল। অন্যদিকে ব্লক সভাপতির দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিয়েছে এলাকার তৃণমূল নেতৃত্ব। অপরদিকে ব্লক সভাপতি মানিক দাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেন নি। গোটা ঘটনাতে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।