মালদা;তনুজ জৈন;০৮এপ্রিল: প্রায় ১৬০০ ছাত্রছাত্রী। এলাকার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং ঐতিহ্যবাহী স্কুল। প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা থাকা উচিত ছিল ৩৫। সেখানে ছিল ২৪। এবার সুপ্রিম রায়ে ওই স্কুলের ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল হওয়ার পর সংকটে স্কুলের পঠন পাঠন ব্যবস্থা।একাদশ দ্বাদশ শ্রেণীতে একাধিক বিষয়ে পড়ানোর জন্য থাকলো না কোন শিক্ষক। ২৮ বছরের শিক্ষকতা জীবনে শিক্ষা ব্যবস্থার এমন সংকটময় পরিস্থিতি দেখিনি দাবি প্রধান শিক্ষকের। সংকটের মুখে ভবিষ্যৎ। দায়ী কমিশন দাবি চাকরিহারা শিক্ষকদের।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় হরিশ্চন্দ্রপুর হাইস্কুল। এই স্কুলে এমনিতেই প্রয়োজনের তুলনায় এগারোজন শিক্ষক শিক্ষিকা কম ছিল। তারপর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা চাকরি হারিয়েছেন। চাকরি গেছে আর এক অশিক্ষক কর্মীর। স্বাভাবিক ভাবেই সংকটে পড়েছে পঠন পাঠন ব্যবস্থা। সব থেকে বেশি সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণীতে। সঠিক ভাবে প্রত্যেকটি ক্লাস কি ভাবে হবে। এই নিয়ে চিন্তার ভাঁজ প্রধান শিক্ষকের কপালে। এদিন আবার স্কুলে এসে ছিলেন চার চাকরিহারা শিক্ষক।যারা এর আগেও অন্য স্কুলে চাকরি করতেন। পরবর্তীতে পরিবারের সুবিধায় বাড়ির কাছাকাছি বদলি নেওয়ার জন্য পুনরায় তারা এসএসসিতে বসে ছিলেন। সফলও হয়ে ছিলেন।বর্তমানে তাদের ভবিষ্যৎ থেকে শুরু করে সামাজিক সম্মান সবটা নিয়েই আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা। এক শিক্ষক সুদীপ্ত রায়ের স্ত্রী থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত। বাড়িতে বৃদ্ধা অসুস্থ ৮৪ বছরের মা। তাই আবার পুরনো চাকরিতে ফেরত যেতে গেলে যাতে কোর্টের নির্দেশ মেনে তাদের কাছাকাছি জায়গায় দেওয়া হয়। এমনটাই দাবি তুলেছেন তারা। সাথে এই পরিস্থিতির জন্য প্রশ্ন তুলেছেন এসএসসি কমিশনের ভূমিকা নিয়ে। প্রধান শিক্ষকের মতে যেমন শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নতি হলে সরকার বাহবা পায়।এক্ষেত্রেও দায় সরকারের। তার শিক্ষা ব্যবস্থার এমন সংকটময় পরিস্থিতি দেখিনি বলেও জানান।