মালদা;তনুজ জৈন;০৫এপ্রিল: ওষুধের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং ওয়াকফ বিল প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল থেকে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূল নেতার।সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে প্যানেল বাতিল প্রসঙ্গের রায় নিয়ে বিজেপির এজেন্ট বলে কটাক্ষ। মোদীর সঙ্গে ডিনার নিয়ে কটাক্ষ। আবার ওই নেতার মন্তব্য নিয়ে অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রসঙ্গ টেনে রায়কে চক্রান্ত বলে পাশে দাড়ালেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি। যদিও এই নিয়ে মন্তব্য করতে চাইলেন না মন্ত্রী। তবে ওয়াকফ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য মন্ত্রীর গলাতেও। তার অভিযোগ উত্তর প্রদেশে মুসলিমদের নামাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। সমগ্র ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া বিরোধীদের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ কর্মসূচি করা হচ্ছে।সেই অনুযায়ী মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভা সদর এলাকায় প্রতিবাদ মিছিল হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি জিয়াউর রহমান, যুব নেতা দুর্জয় দাস, গোলাম মর্তুজ, ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাহেব দাস, যুব তৃণমূল সভাপতি পূজন দাস প্রমুখ। এখান থেকেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সাহেব দাস বলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বিজেপির এজেন্ট হয়ে কাজ করেছে। যেদিন রায় দিয়েছে সেদিন প্রধানমন্ত্রীর বাড়ি গিয়ে ডিনার করেছে।
এটা বিজেপি সিপিএমের চক্রান্ত। চাকরিপ্রার্থীদের কিছু হলে বিজেপি সিপিএম কে দেখে নেওয়ার হুশিয়ারি দেন। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি কে নিয়ে তার এই বিতর্কিত মন্তব্যে পাশে দাড়িয়েছেন ব্লক তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান। সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন এর আগে অভিজিৎ গাঙ্গুলী রায় দিয়ে ছিলেন। তিনি বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যদি বিচারপতি মোদীর সঙ্গে ডিনার করে। তবে ধরে নিতে হবে এটা চক্রান্ত।দীর্ঘদিন ধরে সেই চক্রান্ত হয়েছে।যদিও প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন এই প্রসঙ্গে বলেন কে কি মন্তব্য করেছে সেটা নিয়ে বলতে পারব না। তবে ওয়াকফ নিয়ে কেন্দ্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। দ্রুত বিল প্রত্যাহারের দাবি তুলেন। এই নিয়ে বলতে গিয়ে তিনি দাবি করেন উত্তর প্রদেশে মুসলিমদের নামাজ পড়তে দেওয়া হচ্ছে না। বিরোধীদের দাবি যেমন গাছ তেমন ফল। এত বড় দুর্নীতি করে মুখ্যমন্ত্রী বিজেপি সিপিএমের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। তাই তাদের নেতারাও এই ধরনের মন্তব্য করছেন। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে নিয়ে এই ধরনের মন্তব্য সংবিধানবিরোধী।আর ওয়াকফ নিয়ে সংখ্যালঘুদের ভুল বুঝিয়ে বিভাজনের রাজনীতি তৃণমূল করছে বলে দাবি বিজেপির। সমগ্র ঘটনায় তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানতর।
