মালদা;তনুজ জৈন;১৭এপ্রিল: কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪৭৫ বিঘা সরকারি জমি রেকর্ড মৃত ব্যক্তির নামে। আবার মৃত ব্যক্তির ওয়ারিশরা এই জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন অন্য জায়গায়।জমি ফেরত পেতে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের কংগ্রেস প্রধানের। কংগ্রেসের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বদের মদতে পঞ্চায়েতের জমি অবৈধ ভাবে রেকর্ড হয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান ও এই জালিয়াতিতে যুক্ত রয়েছেন। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি এর পেছনে কংগ্রেসের হাত রয়েছে। ওই জমিতে কংগ্রেস নেতার আত্মীয় বাড়ি করছে। পঞ্চায়েতের জমি মেনে নিচ্ছে ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক। দ্রুত সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। আর বিজেপির অভিযোগ কংগ্রেস তৃণমূল দুইজনেই এই জমি বিক্রি করে নাটক করছে। এক দিকে মুখ্যমন্ত্রী বারবার নির্দেশ দিচ্ছেন সরকারি জমি দখল মুক্ত করার জন্য। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সরকারি জমি আত্মসাতে নাম জড়াচ্ছে তৃণমূল নেতাদের।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের কংগ্রেস পরিচালিত ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েত। ওই পঞ্চায়েতের অধীনে ছিল ৪৭৫ বিঘা জমি।পঞ্চায়েতের নামেই রেকর্ড ছিল সেই জমি। কিন্তু সম্প্রতি সেই জমির রেকর্ড দেখাচ্ছে ভিঙ্গল এলাকার বাসিন্দা মৃত অনন্ত লাল ভদ্রের নামে। এদিকে অনন্ত বাবুর ওয়ারিশরা সেই জমি ইতিমধ্যেই আবার অন্য ব্যক্তিদের কাছে বিক্রি করছেন। তাই জমি ফেরত পেতে ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেন পঞ্চায়েত প্রধান বর্ষা বসাক। বর্ষা বসাকের অভিযোগ তৃণমূলের অঞ্চল চেয়ারম্যান শেখ আলম, সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতে এই জমি অবৈধভাবে রেকর্ড করে বিক্রি করা হচ্ছে।এই সম্পত্তি পঞ্চায়েতের।বড় তৃণমূল নেতাদের মদত রয়েছে বলেও অভিযোগ। কিন্তু কি ভাবে ৫০ বছর আগে মৃত ব্যক্তির নামে রেকর্ড হলো জমি। এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন? ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গেছে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে দুই পক্ষকে ডেকে শুনানি হয়েছে। পঞ্চায়েত এবং মৃত অনন্ত লাল ভদ্রের ওয়ারিশ পক্ষ দুই পক্ষের কাছেই খতিয়ান ছিল। ভুল সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে। জমি পঞ্চায়েতের। যারা বিক্রি করেছে তারা বিক্রি করে ভুল করেছে। অন্যদিকে অনন্ত লাল ভদ্রের ওয়ারিশদের দাবি তাদের কাছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। কাগজপত্র অনুযায়ী যেটা ন্যায্য সেটা হবে। পাল্টা তৃণমূল দোষারোপ করেছে কংগ্রেসকে। আক্রমণের সুর চড়িয়েছে বিজেপি।শুরু রাজনৈতিক তরজা।