মালদা;তনুজ জৈন;১১এপ্রিল: সিপিএমের উকিল এবং বিজেপির বিচারকের জন্য ২৬ হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে। আর মুখ্যমন্ত্রী সকলকে পাশে থাকা আশ্বাস দেওয়ার পরেও কিছু শিক্ষক বিজেপি সিপিএমের সঙ্গে চক্রান্ত করে রাজনীতি করছে।প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে বিতর্কিত মন্তব্য তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যর।যে মন্তব্য সামনে আসতেই নিন্দার ঝড়। দুই কানকাটা নির্লজ্জ বলে তীব্র কটাক্ষ বিরোধীদের। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় শুক্রবার ছাত্র এবং যুব তৃণমূলের উদ্যোগে ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি এবং ছাব্বিশ হাজার চাকরি বাতিলের প্রতিবাদে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি হয়।
এই কর্মসূচির মূল নেতৃত্বে ছিলেন ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পূজন দাস, ছাত্র তৃণমূলের সভাপতি আশরাফুল হক। এখানেই পা মেলান তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান, ব্লক তৃণমূল সভাপতি জিয়াউর রহমান, জেলা সহ-সভাপতি বিকাশ ব্যানার্জি, আইএনটিটিইউসি ব্লক সভাপতি সাহেব দাস সহ আরো অনেকে। ছাত্র যুবদের মিছিলে হরিশ্চন্দ্রপুরের রাস্তায় কার্যত জনজোয়ার দেখা যায়। কিন্তু এই মিছিল থেকেই চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন বুলবুল খান। তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রী ২৬ হাজার শিক্ষকের পাশে আছেন।তিনি আশ্বাস দিয়েছেন কারোর চাকরি যাবে না। আর এই রায়ের জন্য দায়ী সিপিএমের উকিল বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী যিনি পরবর্তীতে বিজেপি সাংসদ হয়েছেন। আরজিকরের সময়ও বিজেপি চক্রান্ত করে ছিল। এখনো করছে। কিছু শিক্ষক তাতে মদত দিচ্ছে। যে সময় বড় দুর্নীতির জন্য এত শিক্ষকের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে। যে সময় পুলিশের কাছে মার খাচ্ছে চাকরি হারারা। সেই সময় তৃণমূল নেতাদের মন্তব্য নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধীদের মতে যাদের জন্য চাকরি গেছে। তারা আন্দোলন করছে। বিজেপি সিপিএমের চক্রান্ত বলছে। শিক্ষকদের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত করছে। এদের থেকে নির্লজ্জ কেউ নেই। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।