মালদা;তনুজ জৈন;২৬মার্চ: এর আগে খোদ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করে ছিলেন পুলিশের ভূমিকা এবং নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে। অপহরণের অভিযোগের একমাস পরেও দশম শ্রেণীর ছাত্রী নাবালিকা কন্যাকে না মেলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষও। মেয়ের খোজের জন্য প্রতিটি মুহূর্তে দুশ্চিন্তায় অপেক্ষার প্রহর গুনছে অসহায় বাবা-মা।একাধিকবার গেছেন থানায়।দ্বারস্থ হয়েছেন পুলিশ সুপারের।তারপরেও মেলেনি কোন খোঁজ। বিজেপির অভিযোগ গরিব পরিবার বলে ভ্রুক্ষেপ নেই পুলিশের।যদিও তৃণমূলের দাবি বাংলার পুলিশ প্রশাসন সকলের জন্য সমান কাজ করে।
মালদা জেলার চাঁচল থানার কবিলহাট এলাকার বাসিন্দা অভাগিনী রায়। তার মেয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রী ফেব্রুয়ারি মাসের ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। প্রতিবেশী শ্রীকান্ত রায় এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার সাগর দাস নামে দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজ ছাত্রীর মা। তারপর আবার চলতি মাসের পাঁচ তারিখ মালদা জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হন নাবালিকার বাবা-মা। কিন্তু এক মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত।এখনো কোনো খোঁজ মেলেনি। তাদের মেয়ে কোথায় রয়েছে। কি অবস্থায় রয়েছে। কিছুই জানেন না তারা। আদেও জীবিত আছে তো প্রশ্ন তুলছে অসহায় মা। এদিকে দুই অভিযুক্তর কোন খোঁজ মেলেনি।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে সমগ্র ঘটনায় তারা তদন্ত শুরু করেছেন। বিভিন্ন দিক এবং বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। লোকেশন ট্র্যাক করার চেষ্টা চলছে।যদিও এই ঘটনায় বিজেপির অভিযোগ এই পরিবার যেহেতু সাধারণ দুস্থ পরিবার। কোন তৃণমূল নেতা তাদের হয়ে সুপারিশ করছে না। তাই পুলিশ মাথা ঘামাচ্ছে না।যদিও তৃণমূলের দাবি বাংলায় পুলিশ প্রত্যেকের জন্য সমান কাজ করে।