মালদা;তনুজ জৈন;২৭মার্চ: কিছু দিন আগেই প্রশাসনিক তদন্তে সিল হওয়া সারের দোকান এবং গোডাউন থেকে এবার বিহারে সার পাচার করতে গিয়ে গাড়ি সমেত আটক করল পুলিশ। গ্রেপ্তার তিন পাচারকারী। মালিকপক্ষ সহ মোট ছয় জনের নামে অভিযোগ দায়ের।সেই দোকান থেকে যে তিনটি নমুনা সংগ্রহ করে ছিল প্রশাসন। তার মধ্যে একটি নমুনায় পাওয়া গেছে ভেজাল। কি ভাবে রমরমিয়ে চলছিল এই জাল ব্যবসা। কি ভাবে প্রশাসন সিল করার পরেও চলছে কারবার। রয়েছে কাদের মদত। উঠছে একাধিক প্রশ্ন? বিজেপির অভিযোগ প্রশাসনিক তদন্তের পরেও যে দুঃসাহস দেখাচ্ছ ঐ ব্যবসায়ী। তার কারণ তিনি তৃণমূল নেত্রীর আত্মীয়।অন্যদিকে প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে। তাই পদক্ষেপ হচ্ছে পাল্টা দাবি তৃণমূলের। তদন্তে পুলিশ প্রশাসনের কর্তারা। সিল খুলে পুনরায় খতিয়ে দেখা হলো গোডাউনের ভেতরে।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের করিয়ালি রাজেশ্বর মোড় এলাকায় রাশেদ আলী নামে এক ব্যবসায়ীর সারের দোকানে কিছুদিন আগেই হানা দেয় প্রশাসন। একাধিক বেনিয়মের কারণে সিল করা হয় দোকান এবং তিনটি গোডাউন। কিন্তু সেই সময় তদন্তে অসহযোগিতা করে ওই ব্যবসায়ী। আরো তিনটি গোডাউন খুলতে দেওয়া হয় না প্রশাসনকে। পরবর্তীতে অভিযোগ উঠে আসে ওই তিনটি গোডাউন থেকে সামগ্রী বের করে পুড়িয়ে দিয়েছে ওই ব্যবসায়ী। চাষীরা অভিযোগ করে তাদের প্রতারিত করে ভেজাল সার তৈরি করে চলছে রমরমা ব্যবসা।রাশেদ আলীর পেছনে তৃণমূল যোগের অভিযোগ তুলে বিরোধীরা। এদিকে প্রশাসন তিনটি নমুনা নিয়ে যায় দোকান থেকে। তার মধ্যে একটি নমুনাতে মিলেছে ভেজাল। আর দোকান সিল থাকা সত্ত্বেও এই ভেজাল সারের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে ওই ব্যবসায়ী। এদিন গাড়ি করে বিহারে সার পাচার করতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতে নাতে ধরা পড়ে।আটক করা হয়েছে গাড়ি। গ্রেপ্তার হয়েছে তিনজন। এছাড়াও বিহার এবং বাংলার মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে রাশেদ আলীর ছেলের দাবি তাদের গোডাউন সিল ছিল। এটা পার্শ্ববর্তী গোডাউন থেকে সার ছিল। আর ভেজাল প্রসঙ্গে দাবি তারা কোম্পানিকে জানিয়েছেন।ঘটনাস্থলে যান হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সোনাম ওয়ানদী লামা, কৃষি অধিকর্তা প্রভাত উৎপল আচার্য এবং ভালুকা ফাঁড়ির ওসি শ্যামসুন্দর সাহা। তবে কি প্রশাসনিক নির্দেশ অমান্য করে সিল ভেঙে চলছিল ব্যবসা।সেই ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ প্রশাসন। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ তৃণমূলের মদতে এত বাড়বাড়ন্ত। তাই প্রশাসনকে তিনটি গোডাউন সিল না করেই ঘুরে আসতে হয়েছিল। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূলের।