Type Here to Get Search Results !

বিয়ের দুই ও তিন বছর পর কন্যাশ্রীর জন্য আবেদন !বিডিওর তদন্তে উঠে আসলো একাধিক ভুয়া কন্যাশ্রী

কারও কোলে সন্তান রয়েছে,বিয়ের দুই ও তিন বছর পর কন্যাশ্রীর জন্য আবেদন ! বিডিওর তদন্তে উঠে আসলো একাধিক ভুয়া কন্যাশ্রী, টাকার বিনিময়ে অবিবাহিত রিপোর্ট ব্লকে দেওয়ার অভিযোগ ব্লকেরই এক কর্মীর বিরুদ্ধে, চাঞ্চল্য হরিশ্চন্দ্রপুরে।


মালদা;তনুজ জৈন;২০মার্চ: কারও বিয়ের দু'বছর হয়েছে,আবার কারও বিয়ের তিন বছর হয়েছে। অনেকেরই কোলে সন্তান রয়েছে। অবিবাহিত দেখিয়ে কন্যাশ্রী প্রকল্পের টাকা পেতে স্কুলে আবেদন করেছিলেন। বিডিওর তথ্য যাচাইয়ে উঠে আসলো একাধিক ভুয়া কন্যাশ্রী। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের মশালদহ অঞ্চলের ঘটনা।


বৃহস্পতিবার সকালে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের জয়েন্ট বিডিও সোনাম ওয়াঙদি লামা জগন্নাথপুর হাই মাদ্রাসার কন্যাশ্রী প্রকল্পের একাধিক আবেদনপত্র হাতে নিয়ে তথ্য যাচাইয়ে যান মশালদহ অঞ্চলের তালগাছি ও করকরিয়া গ্রামে। আবেদনকারী ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তদন্তে উঠে আসলো একাধিক ভুয়া কন্যাশ্রী। আবেদন পত্র বাতিল করেন বিডিও।ছাত্রীদের যাতে পড়াশোনার জন্য কোনও রকম আর্থিক সমস্যা না হয় তার জন্য রাজ্য সরকার চালু করেন ‘কন্যাশ্রী প্রকল্প’। ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী অবিবাহিত মেয়েদের পড়াশোনায় খরচ করার জন্য বছরে ১০০০ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। পাশাপাশি ১৮ বছরের পরেও তারা অবিবাহিত থাকলে এককালীন দেওয়া হয় ২৫ হাজার টাকা।আর সেই ২৫ হাজার টাকা পেতে অবিবাহিত দেখিয়ে বিয়ের পর আবেদন করেছিলেন ছাত্রীরা বলে অভিযোগ। যা ছাত্রী ও তার পরিবারের লোকেরা স্বীকার করেছেন। অভিযোগ, দুই মাস আগে পঞ্চায়েত ও ব্লকের কর্মীর পরিচয় দিয়ে দু'জন ব্যক্তি কন্যাশ্রীর আবেদন পত্র নিয়ে ফিল্ড ভেরিফিকেশনে এসেছিলেন। প্রকল্পের টাকা পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিবার থেকে ২-৫ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে গিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্লকের এক কর্মী জড়িত রয়েছে। তিনি ফিল্ড ভেরিফিকেশনে গিয়ে টাকা আদায় করে মিথ্যা রিপোর্ট ব্লকে জমা করেছেন। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবেন বলেন জানান বিডিও তাপস কুমার পাল।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side