Type Here to Get Search Results !

মালদা জেলায় রমরমিয়ে চলছে জাল সারের ব্যবসা,প্রতারিত হচ্ছে চাষিরা

হরিশ্চন্দ্রপুর সহ মহকুমা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে জাল সারের ব্যবসা, মুনাফা লাভ করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী, প্রতারিত হচ্ছে চাষিরা, হাজার হাজার বিঘা ধান ভুট্টা মাখনা চাষে ক্ষতির আশঙ্কা, প্রশাসনিক অভিযানে জাল সারের পর্দা ফাঁস হতেই বিস্ফোরক অভিযোগ চাষীদের, তৃণমূল নেতাদের মদত রয়েছে খোঁচা বিজেপির, সাফাই তৃণমূলের।



মালদা;তনুজ জৈন;১৮মার্চ: মহকুমা জুড়ে রমরমিয়ে চলছে জাল সারের ব্যবসা। চাষীদের প্রতারিত করে মুনাফা লাভ করছে এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। হাজার হাজার বিঘা ধান মাখনা ভুট্টা চাষে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা কৃষিকাজে। আবার সেই জাল সার বাংলা থেকে চলে যাচ্ছে বিহারে।সেখানেও বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। প্রশাসনিক অভিযানে জাল সারের পর্দা ফাঁস হওয়ার পর এমনটাই অভিযোগ করেছে চাষীরা। ঘটনায় লেগেছে রাজনীতির রং। বিজেপির দাবি সম্পূর্ণ তৃণমূলের মদতে প্রশাসনিক কর্তাদের সহায়তায় চলছে এই ব্যবসা। মোটা অংকের টাকা পাচ্ছে তৃণমূল নেতারা। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে তৃণমূলের দাবি প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে বলেই কোন সারের দোকান নিয়ে অভিযোগ থাকলে সাথে সাথে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।



 সম্প্রতি মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের করিয়ালি এলাকায় একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে একটি সারের দোকান এবং তিনটি গোডাউন সিল করে প্রশাসন। ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, কৃষি অধিকর্তা এবং পুলিশকে নিয়ে যান তদন্তে।যদিও তদন্ত চলাকালীন উঠেছিল অসহযোগিতার অভিযোগ। কারণ তিনটি গোডাউন সিল হলেও আরো তিনটি গোডাউনের তালা খোলা হয়নি দোকান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। পরে প্রশাসনিক আধিকারিকরা যেতেই সেই তিনটি গোডাউনের তালা খুলে মজুদ থাকা জিনিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগও উঠেছিল। অন্যদিকে জানা যায় সারের দোকানের মালিক রাশেদ আলীর ছেলে তৃণমূল নেত্রীর জামাই। তারপরেই এই ঘটনার পর চাষীদের অভিযোগ হরিশ্চন্দ্রপুর সহ চাঁচল মহকুমার চাঁচল, সামসি, রতুয়া বিভিন্ন এলাকাতেই চলছে জাল সারের চক্র। কৃষি কাজে যে সার প্রয়োজন সেই সার দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে হাজার হাজার বিঘা ধান মাখনা ভুট্টা কৃষিকাজেও ক্ষতি হচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবে এই অভিযোগ সামনে আসতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও প্রশাসনের দাবি এরকম কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বিরোধীদের দাবি এর সঙ্গে তারা যুক্ত।সম্পূর্ণ তৃণমূলের মদতে প্রশাসনিক কর্তাদের সহায়তায় চলছে এই ব্যবসা। মোটা অংকের টাকা পাচ্ছে তৃণমূল নেতারা। মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা এটিএম রফিকুল হোসেন বলেন প্রশাসন এর আগেও বিভিন্ন সারের দোকান সিল করেছে। কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছেন জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side