মালদা;তনুজ জৈন;১৫মার্চ: মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের করিয়ালি রাজেশ্বর মোড় এলাকায় একাধিক বেনিয়মের অভিযোগে সারের দোকান এবং তিনটি গোডাউন সিল করে প্রশাসন। ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক, কৃষি অধিকর্তা এবং পুলিশকে নিয়ে যান তদন্তে। যদিও তদন্ত চলাকালীন উঠে অসহযোগিতার অভিযোগ। কারণ তিনটি গোডাউন সিল হলেও আরো তিনটি গোডাউনের তালা খোলা হয়নি দোকান কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। যদিও প্রশাসনিক আধিকারিকরা যেতেই সেই তিনটি গোডাউনের তালা খুলে মজুদ থাকা জিনিস পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্থানীয় সূত্রে এমনটাই খবর। প্রসঙ্গত ওই দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল জাল সার তৈরি করার। তবে কি ওই তিনটি গোডাউনে ব্যাপক পরিমাণ জাল সার মজুদ ছিল? অন্যদিকে জানা যাচ্ছে সারের দোকানের মালিক তৃণমূল নেত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্যা রাসেদুন নেশার জামাই গোডাউন মালিক রাশেদ আলীর ছেলে। তবে কি সেই কারণেই তিনটি গোডাউন না খোলা হলেও চাপের মুখে ফিরে গেছে প্রশাসন।উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
অন্যদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নং ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক তাপস কুমার পাল নিজেও মেনে নিচ্ছেন সেই গোডাউনের সামগ্রী পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। সাথে উনার দাবি যদি প্রমাণ লোপাটের জন্য কোন জিনিস পোড়ানো হয় সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ কঠোর পদক্ষেপ নেবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে প্রশাসনিক অভিযানের পর কি ভাবে এতটা সাহস পেল দোকান কর্তৃপক্ষ। কেনই বা প্রশাসন সেদিন জোর করে গোডাউনের তালা খোলালো না। বিরোধীদের অভিযোগ এখানে মদত রয়েছে তৃণমূলের।যেহেতু সারের দোকানের মালিক তৃণমূল নেত্রীর জামাই। তাই তাকে আড়াল করা হচ্ছে। কৃষি আধিকারিক এর কাজের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে বিরোধীরা। যদিও তৃণমূলের দাবি এখানে রাজনীতির বিষয় নেই। প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে বলেই সেখানে অভিযান হয়েছিল। বাকি পদক্ষেপ প্রশাসন নেবে।সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।