মালদা;তনুজ জৈন;০৯ফেব্রুয়ারী: মন্ত্রী বলছেন, দলের প্রধান সম্পর্কে তিনি কিছু জানেন না। এমনকি তিনি প্রধানকে চেনেন না বলেও দাবি করেছেন। আবার বিধায়ক বলছেন, ও তো কংগ্রেসী। কংগ্রেসই ওর নথি জাল করতে সাহায্য করেছে। তাই কংগ্রেসীদেরই গ্রেফতার করা উচিত। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলি খাতুনের ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হতেই জেলা তৃণমূল মুখপাত্র দায় সেরে ফেলে ছিলেন। লাভলি দলের কেউ নয় বলে তিনি দাবি করে ছিলেন। এবার একই ভাবে লাভলি দলের কেউ নয় বলে দাবি করলেন খোদ মন্ত্রী ও বিধায়ক। যা নিয়ে ফের নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। গত পঞ্চায়েত ভোটের পর বোর্ড গঠনের দিন কংগ্রেস ছেড়ে নাটকীয় ভাবে তৃণমূলে যোগ দেন লাভলি খাতুন। তৃণমূলে যোগ দিতেই রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতে ওবিসি সংরক্ষিত মহিলা আসনে লাভলিকে প্রধান করে তৃণমূল। কিন্তু তিনি বাংলাদেশী নাগরিক, তার নথি ভুয়ো বলে প্রশাসনের দ্বারস্থ হন পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী রাহেনা সুলতানা-সহ কয়েকজন। এ নিয়ে আদালতেও মামলা হয়। আদালত প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চায়। শুনানির পর মহকুমা প্রশাসন প্রধানের শংসাপত্র বাতিল করে। এরপর শনিবার প্রধানকে শো-কজ করে চিঠি পাঠান মহকুমাশাসক। এক সপ্তাহের মধ্যে কারণ জানতে চেয়ে তাকে শো-কজ করা হয়েছে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। লাভলির উত্তর না পেলে তাকে প্রধান পদ থেকে অপসারণ করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানকে শো-কজ করতেই জেলা তৃণমূল মুখপাত্র আশিস কুণ্ডু দাবি করে ছিলেন, লাভলি দলের কেউ নন। তিনি কংগ্রেস থেকে জয়ী হয়েছিলেন।স্থানীয়স্তরে সংরক্ষিত আসনে কোন সমীকরণে তিনি প্রধান হয়েছিলেন তা তিনি জানেন না।
এবার একই পথে হাঁটলেন হরিশ্চন্দ্রপুরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী তজমুল হোসেন। তার দাবি, রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত হরিশ্চন্দ্রপুরে হলেও এলাকাটি চাঁচল বিধানসভার মধ্যে। ফলে তিনি লাভলিকে চেনেনই না। আবার চাঁচলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ বলেন, লাভলি কংগ্রেস থেকে জয়ী হয়ে ছিলেন। তিনি তৃণমূলের কেউ নন। কংগ্রেসে থাকতেই তিনি ভুয়ো নথি দিয়ে ভোটে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ফলে দায় কংগ্রেসের। যারা এ কাজে তাকে সাহায্য করেছে, সেই কংগ্রেসীদের গ্রেফতার করা উচিত।যদিও দু বছর ধরে তৃণমূল বোর্ডের প্রধান ছিলেন লাভলি। তারপরেও মন্ত্রী ও বিধায়কের দাবি নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে। বিপাকে পড়ে তারা লাভলিকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা।