মালদা;তনুজ জৈন;০৮ফেব্রুয়ারী: বাংলাদেশী নাগরিকের অভিযোগ ওঠা তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের জাল ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হতেই হাইকোর্টের নির্দেশে এবার তৃণমূলের প্রধান কে শোকজ নোটিশ পাঠালেন মহকুমা শাসক। কেন তিনি প্রধান পদে থাকবেন? তার নির্দিষ্ট জবাব দিতে হবে সাত দিনের মধ্যে। কার্যত তৃণমূল প্রধানের প্রধান পদ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই দায় ঝেড়ে ফেলছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল প্রধানের গ্রেফতারি সিবিআই তদন্ত সহ তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণে বিরোধীরা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলী খাতুন। যিনি কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করে সুযোগ বুঝে দল বদল করে তৃণমূলের সমর্থনে প্রধান হন। তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতা করে হেরে যাওয়া তৃণমূল প্রার্থী রেহেনা সুলতানা সহ আরো কয়েকজন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এই অভিযোগে। তাদের অভিযোগ ছিল জাল নথিপত্র দিয়ে ওবিসি শংসাপত্র জাল করেছেন লাভলী খাতুন। বিচারপতি অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানির পর চাঁচলের মহকুমা শাসক সৌভিক মুখার্জি জাল ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে অভিযোগে দুইবার শুনানি করেন।সেই শুনানির ভিত্তিতে প্রমাণ হয় লাভলী খাতুন ভুয়ো ভাবে সাক্ষী এবং বাবা ব্যবহার করে এই শংসাপত্র বের করে ছিলেন। মহকুমা শাসক শংসাপত্র বাতিল করেন। পুনরায় হাইকোর্টে শুনানির পর হাইকোর্টের নির্দেশে মহকুমা শাসক এবার শোকজ নোটিশ দিয়েছেন লাভলী খাতুন কে। সাত দিনের সময়ে জবাব দেওয়ার পর ফের শুনানি হবে। তারপর রিপোর্ট অনুযায়ী রায় দেবে হাইকোর্ট। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি কংগ্রেসের প্রতীকে যিনি জিতে ছিলেন তিনি তৃণমূলের কেউ নন। প্রশাসন কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করছে। পাল্টা বিজেপির অভিযোগ দুই বছর সমর্থন করার পর এখন দায় ঝাড়লে চলবে না। সিবিআই তদন্ত হলে সব স্পষ্ট হবে। কংগ্রেস এবং সিপিএমের দাবি সব হয়েছে তৃণমূলের মদতে পরিকল্পনায়। দ্রুত গ্রেপ্তার হওয়া উচিত। গোটা ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।