মালদা;তনুজ জৈন;০৬ফেব্রুয়ারী: ফের সামনে এলো চিটফান্ড কেলেঙ্কারি।দীর্ঘদিন ধরে চিটফান্ড কোম্পানির নাম করে প্রতারণার ব্যবসা।এলাকা থেকে সাধারণ খেটে খাওয়া গরিব মানুষের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ। অভিযোগ দায়ের হতেই তদন্ত শুরু করার পর সাফল্য পুলিশের। পুলিশের জালে ওই ভুয়ো বেসরকারি সংস্থার মূল পান্ডা।এই চক্রে আর কারা জড়িত তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে আদালতে পেশ। ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ সারদা রোজভ্যালি থেকে শুরু করে এই ধরনের প্রতারণা হচ্ছে তৃণমূলের মদতে। টাকা যাচ্ছে তৃণমূল পার্টি অফিসে। যদিও বিজেপির অভিযোগ কে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের পাল্টা দাবি তৃণমূল আমলে পুলিশ প্রশাসন সক্রিয় তাই কোন প্রতারক ছাড় পাচ্ছে না। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার কুশিদা এলাকায় বেসরকারি ওই ভুয়ো সংস্থা চিটফান্ডের নামে দীর্ঘদিন ধরে ঘাঁটি গেড়ে ব্যবসা চালাচ্ছিল। এলাকার বহু মানুষ এখানে অর্থ লগ্নি করে। কিন্তু কেউ আর তাদের অর্থ ফেরত পায়নি। উধাও হয়ে যায় কোম্পানি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। ঘটনার তদন্তে নেমে গাজোল থেকে মূল পান্ডাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।ধৃতের নাম রমেন্দ্র সরকার (৩০)। বাড়ি পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ এলাকায়।যদিও ধৃতের কাছ থেকে ওই সংস্থার কোন নথিপত্র, ল্যাপটপ কিছুই উদ্ধার হয়নি। তাই তদন্তের অগ্রগতির জন্য ধৃতকে সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়ে চাঁচল মহকুমা আদালতে পেশ করেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশের অনুমান জিজ্ঞাসাবাদ করলেই এই চক্রে আর কারা জড়িত। কি ভাবে চলত ব্যবসা। সমস্তটা সামনে আসবে।
অন্যদিকে এই রাজ্যে চিটফান্ড কেলেঙ্কারির ফলে বহু সাধারণ মানুষ সর্বশান্ত হয়েছে। সারদা সহ এরকম একাধিক কোম্পানি প্রতারণা করেছে মানুষের টাকা। যদিও বিগত কয়েক বছর তেমন ভাবে আর সামনে আসেনি চিটফান্ড কেলেঙ্কারি। তবে এই ঘটনা সামনে আসতেই স্বাভাবিক ভাবে ফের শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিরোধীরা নিশানা করেছে তৃণমূলকে।