Type Here to Get Search Results !

স্ট্যাম্প পেপারে ছয় লক্ষ টাকায় বিক্রি সরকারি সেচ দপ্তরের জমি এবং ক্যানেল, বাঁশ দিয়ে ঘিরে মাটি ভরাটের অভিযোগ

স্ট্যাম্প পেপারে ছয় লক্ষ টাকায় বিক্রি সরকারি সেচ দপ্তরের জমি এবং ক্যানেল, বাঁশ দিয়ে ঘিরে মাটি ভরাটের অভিযোগ, প্রতিবাদে পথে নেমে বিক্ষোভ এলাকাবাসীর, পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ, তৃণমূলের মদত অভিযোগ বিজেপির, সাফাই তৃণমূলের, কি ভাবে বিক্রি হলো সরকারি জমি উঠছে প্রশ্ন?

মালদা;তনুজ জৈন;০৫ফেব্রুয়ারী: মুখ্যমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশের পরেও ফের প্রকাশ্যে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম।সরকারি সেচ দপ্তরের জমি এবং ক্যানেল।যে ক্যানেল এলাকার একমাত্র নিকাশির পথ। সেই জমি দখল করে বাঁশ দিয়ে ঘিরে মাটি ভরাটের অভিযোগ। দখলমুক্ত করতে রাস্তায় নামল এলাকাবাসী। সরকারি জমি বাঁচাতে তুমুল বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের। দখলকারীদের দাবি তারা স্ট্যাম্প পেপারে ছয় লক্ষ টাকা দিয়ে স্থানীয় কমিটির কাছ থেকে এই জমি কিনেছেন। কিন্তু সরকারি জমি কি ভাবে স্ট্যাম্প পেপারে বিক্রি হলো। এই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন? এই ঘটনা সামনে আসতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ তৃণমূলের মদতে প্রশাসনের সহায়তায় দখল হয়ে যাচ্ছে সরকারি জমি। যদিও তৃণমূলের দাবি সরকারি জমি দখল হলে কঠোর পদক্ষেপ নেবে প্রশাসন।

মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের দৌলতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালাপাথর গ্রামে রয়েছে রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের দেড় বিঘা জমি এবং ক্যানেল। যে জমিতে স্থানীয় কৃষকরা চাষবাস করে। ওই ক্যানেল দিয়ে চাষবাস সহ এলাকার জল নিকাশি হয়। অভিযোগ ইসাক নামে এক ব্যক্তি ভুয়ো ভাবে ওই জমি কিনে বাঁশ দিয়ে ঘিরে মাটি ভরাট করছে। তারপরে এদিন এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভ করে। তাদের দাবি যদি এই ক্যানেল বন্ধ হয়ে যায় দুটি গ্রামের মানুষ ব্যাপক সমস্যায় পড়বে। বিঘ্ন হবে কৃষিকাজ। সাথে তাদের প্রশ্ন কি ভাবে সরকারি জমি বিক্রি হচ্ছে। এই নিয়ে তারা প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিন বিক্ষোভের ঘটনায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। পুলিশ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিলে বিক্ষোভ উঠে যায়। যদিও দখলকারীর ছেলের দাবি তারা স্থানীয় গ্রামবাসীর কমিটির কাছ থেকে এই জমি স্ট্যাম্প পেপারে ছয় লক্ষ টাকায় কিনেছেন। 

কিন্তু কে বা কারা কি ভাবে বিক্রি করল। প্রশাসন কেন টের পেল না। উঠছে একাধিক প্রশ্ন? অন্যদিকে জেলা সেচ দপ্তরের অধিকর্তা জানিয়েছেন এই নিয়ে খতিয়ে দেখে তারা মন্তব্য করবেন। অপরদিকে অভিযোগ পেলে পদক্ষেপ নেওয়া হবে আশ্বাস হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুরজিৎ দাসের। যদিও বিজেপির দাবি সমগ্র ঘটনায় তৃণমূলের মদত রয়েছে। তার জন্য প্রশাসন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের মতে সরকারি জমি কোন ভাবেই দখল হবে না। যদি হয়ে থাকে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side