Type Here to Get Search Results !

মহানন্দা সেচ দপ্তরের সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ নিয়ে অব্যাহত জট! ভূমি দপ্তর রেকর্ড বাতিল করলেও রেকর্ড রয়েছে ব্যক্তির নাম

সেচ দপ্তরের সরকারি জমি বিক্রির অভিযোগ নিয়ে অব্যাহত জট, ভূমি দপ্তর রেকর্ড বাতিল করলেও রেকর্ড রয়েছে ব্যক্তির নামে, হয়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে নামে রেকর্ড, মোটা অর্থ দিয়ে জমি কিনে বিপাকে জমি ক্রেতা, নির্দিষ্ট কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও কেন বাতিল হল উঠছে প্রশ্ন? ভূমি দপ্তর এবং রেজিস্ট্রি দপ্তরের মধ্যে সংঘাত, সুবিচারের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন জমির ক্রেতা।

মালদা;তনুজ জৈন;০৭জানুয়ারি: রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের মহানন্দা এনব্যাঙ্ক মেন্টের ছয় বিঘা জমি বিক্রি করে দাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। নির্দিষ্ট কাগজপত্রের ভিত্তিতে হয়ে গেছিল রেজিস্ট্রি।জমি ক্রেতা রেকর্ডের জন্য আবেদন করার পর ভূমি সংস্কার দপ্তর তদন্ত করে দাবি করে এই জমি সরকারের। বাতিল করা হয় রেকর্ড। কিন্তু রেকর্ড বাতিল হওয়ার পরেও সেই জমি দেখাচ্ছে ব্যক্তির নামে। এখনো সরকারি দপ্তরের নামে নেই সেই জমি। অন্যদিকে রেজিস্ট্রি দপ্তরের দাবি নির্দিষ্ট ওয়ারিশ সার্টিফিকেট যেখানে ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর রয়েছে তার ভিত্তিতে এই জমি রেজিস্ট্রি হয়ে ছিল। এই নিয়ে রেজিস্ট্রি দপ্তর এবং ভূমি সংস্কার দপ্তরের মধ্যে একটা সংঘাত সামনে এসেছে। অন্যদিকে জমির ক্রেতার দাবি তিনি সব কাগজপত্র সঠিক দেখে জমি কিনে ছিলেন। কিন্তু অন্যায় ভাবে তার রেকর্ড বাতিল হয়েছে। তার জমি দখল করে রেখেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন। জমি জট নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।প্রশাসন তদন্ত করছে জানালেন সেচ প্রতিমন্ত্রী। প্রশাসনিক গাফিলতি এবং দুর্নীতি রয়েছে অভিযোগ বিজেপির। 


মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল সংলগ্ন রাজ্য সরকারের সেচ দপ্তরের মহানন্দা এনব্যাংকমেন্টের ১৩ বিঘা জমি রয়েছে।তার মধ্যে ৬ বিঘা জমি দক্ষিণ ২৪ পরগনার দীপেন্দ্র কুমার মিশ্র হরিশ্চন্দ্রপুরের কাউয়ামারীর সিরাজুল হকের কাছে দেড় কোটি টাকায় বিক্রি করেন। সেই জমি রেকর্ড রয়েছে রায়তি সম্পত্তি হিসেবে আলিয়া ভট্টাচার্যের নামে। যিনি বর্তমানে মৃত। ওয়ারিশ সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে দীপেন্দ্র কুমার মিশ্র সেই জমি বিক্রি করেন।সেই ওয়ারিশ সার্টিফিকেটে আলিপুর আদালতের লোয়ার ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের স্বাক্ষর রয়েছে। তার ভিত্তিতে তুলসীহাটা সাব রেজিস্টার অফিসে সেই জমি রেজিস্ট্রি হয় সিরাজুল হকের নামে। তারপর তিনি ভূমি সংস্কার দপ্তর আবেদন করেন রেকর্ডের জন্য। কিন্তু ভূমি সংস্কার দপ্তর মাপযোগ করে জানায় সেটা সরকারি জমি। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। জেলা শাসকের নির্দেশে শুরু হয় তদন্ত।এদিকে বিরাট মাপের অর্থ ব্যয় করে জমি কিনে বিপাকে পড়ে যান সিরাজুল। কিন্তু রেকর্ড বাতিল হলেও এখন সেই রেকর্ড আবার দেখাচ্ছে আলিয়া ভট্টাচার্যের নামে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নামে দেখাচ্ছে না জমি। সিরাজুলের প্রশ্ন তার কাছে সমস্ত কাগজপত্র পরিষ্কার রয়েছে। সেখানে কেন রেকর্ড বাতিল হল।

 সেচ দপ্তর কেন তালে কাগজপত্র দেখাচ্ছে না। সুবিচারের জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। অন্যদিকে সেচ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য এই বিষয়ে তিনি প্রশাসন কে বলেছেন। জেলা ভূমি দপ্তর তদন্ত করছে। যেটা ন্যায্য সেটাই হবে। বিজেপির অভিযোগ সরকারি জমিতে বড় ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে প্রশাসনের গাফিলতি তে। তার জন্য একজন সাধারণ মানুষকে সমস্যায় পড়তে হল। অন্যদিকে ভূমি সংস্কার দফতরের দাবি মহানন্দা এনবেঙ্কমেন্ট এখনো রেকর্ড করেনি। বাকিটা যে জমি বিক্রি করেছে তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side