মালদা;তনুজ জৈন;০৭জানুয়ারি: মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে ট্রেনে করে কলেজ যাওয়ার পথে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনায় অতিক্রান্ত ৪৮ ঘন্টা। এখনো মেলেনি কোন খোঁজ। তদন্ত করছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এবং এনটিপিসি ফাঁড়ির পুলিশ।এনটিপিসির নেতাজি সেতু থেকে উদ্ধার হয়েছিল ছাত্রীর ব্যাগ মোবাইল সহ যাবতীয় সরঞ্জাম। পরিবারের লোকের আশঙ্কা ছিল অপহরণ করা হয়েছে ওই ছাত্রীকে। এদিন এনটিপিসির ক্যানেলে নামানো হয়েছে ডুবুরি।
এদিকে ফারাক্কা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সামনে এসেছে বেশ কিছু তথ্য। পুলিশের উপরই সম্পূর্ণ ভাবে নির্ভরশীল পরিবার। এদিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান জেলা পরিষদ সদস্য মর্জিনা খাতুন, আরেক জেলা পরিষদ সদস্য বুলবুল খান, ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পূজন দাস, ব্লক তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের সভাপতি সাহেব দাস প্রমুখ। পরিবারের লোককে তারা আশ্বাস দেন পুলিশের উপর ভরসা রাখতে। দুশ্চিন্তায় ভেঙে পড়েছে ছাত্রীর মা। হরিশ্চন্দ্রপুরের বারদুয়ারির বাসিন্দা দীপ্তি ভগত দুমকায় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে যাওয়ার জন্য রবিবার কুলিক এক্সপ্রেস করে রওনা দেয় দীপ্তি ভগত(২০)। মালদা টাউন স্টেশন অব্দি ফোনে বাড়ির লোকের সঙ্গে কথা হয় তার। তারপর থেকেই নিখোঁজ। যাওয়ার কথা ছিল রামপুরহাট পর্যন্ত। এদিকে নিউ ফারাক্কা স্টেশনের সিসিটিভিতে দেখা যাচ্ছে ওই ছাত্রী সেখানে ট্রেন থেকে নামে। স্টেশনে কিছুক্ষণ বসে থাকে।বেরোনোর সময় কান্নাকাটি করছিল। কিন্তু তারপর আর কোন খোঁজ নেই।তবে কি কারণে ওই স্টেশনে নামলো দীপ্তি। তারপর গেলই বা কোথায়। যদিও বাড়ির লোকের দাবি বাড়ি থেকে সম্পূর্ণ ভালো মনে বেরিয়ে ছিল। কোন সমস্যা ছিল না।সমগ্র ঘটনায় ক্রমশ দানা বাঁধছে রহস্য। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের দাবি সমস্তটা এখন পুলিশের উপর নির্ভর। পুলিশকে সময় দিতে হবে। পরিবারের লোক ও পুলিশের দিকে মুখ চেয়ে।