মালদা;তনুজ জৈন;৩০জানুয়ারি: বাংলাদেশের নাগরিক ভুয়ো নথিপত্র ব্যবহার করে এখানে প্রধান পদে আসীন। এই অভিযোগ ওঠার পর মহকুমা শাসক দপ্তরে দুইবার শুনানি শেষে তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের ওবিসি শংসাপত্র বাতিল। তারপরেই এবার ওই শংসাপত্রে বাবা হিসেবে যার নাম উল্লেখ করে ছিলেন সেই ভুয়ো বাবার ভাই কার্যত মেনে নিলেন তার দাদা দেশদ্রোহী কাজ করেছে। এই প্রধান তার দাদার মেয়ে নন। সাথে প্রধানের গ্রেফতারি এবং দাদার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন তিনি। পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বক্তব্য মহকুমা শাসকের। কার্যত এই মুহূর্তে প্রধান পদ বাতিল থেকে শুরু করে গ্রেফতারির সম্ভাবনা তৃণমূল প্রধানের।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান লাভলী খাতুনের বিরুদ্ধে উঠে এসেছে বিস্ফোরকের অভিযোগ। কংগ্রেসের প্রতিকে জেতা লাভলী খাতুন তৃণমূলে যোগদান করে প্রধান হন।পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী সহ আরো চারজন তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন। তাদের অভিযোগ ছিল লাভলী খাতুন বাংলাদেশী। হাইকোর্টের নির্দেশে তার ওবিসি শংসাপত্র নিয়ে মহকুমা শাসক দপ্তরে শুনানিতে একাধিক অসঙ্গতি উঠে আসে। সাক্ষীদের নথিপত্র জাল করে ব্যবহার করে ছিলেন তিনি। বাবা হিসেবে দিয়েছিলেন কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাগমারা গ্রামের মুস্তাফা নামে এক ব্যক্তির নাম। যদিও জানা যায় মুস্তাফা তার বাবা না। তার দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। এই ভাবেই জালিয়াতি করে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট তুলেছিল লাভলি। আবার গ্রামের নাম বাগমারা না দিয়ে দেওয়া হয়েছিল শালদহ। মহকুমা শাসক প্রধানের কাছে রিপোর্ট তলব করেও জানতে পারেন এর মধ্যে গরমিল রয়েছে। যদিও এই সমস্ত বিষয় নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি লাভলী খাতুন। তাকে ফোন করা হলে ফোন ধরেননি। এদিকে লাভলী খাতুন এর ভুয়ো বাবা মোস্তফার ভাই আজাদ এই ঘটনা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছেন। তার মতে এটা দেশদ্রোহিতার সমান। একজন বাংলাদেশীকে জাল নথিপত্র বের করতে সহায়তা। এই মুহূর্তে লাভলী খাতুনের বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ হয়। প্রধান পদ বাতিলের সঙ্গে কি তার গ্রেফতারি হবে। কি রায় দেয় হাইকোর্ট। সেই দিকেই তাকিয়ে সকলে।