মালদা;তনুজ জৈন;২৯জানুয়ারি: তদন্তের ভিত্তিতে দুইবার শুনানির পর চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট মহকুমা শাসকের। ওবিসি শংসাপত্র বাতিল তৃণমূল প্রধানের।অভিযোগ ছিল বাংলাদেশের নাগরিক ভারতে বিয়ে করে সমস্ত নথি জালিয়াতি করে জাল ওবিসি শংসাপত্র বের করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দিতা করে জয়ী হওয়ার পর সুযোগ বুঝে তৃণমূলে যোগদান করে প্রধান হন। সেই সময় যে তৃণমূল প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করে ছিলেন তিনি সহ আরো চারজন অভিযোগ দায়ের করেন। যে মামলা বিচারাধীন রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি অমৃত সিনহার ডিভিশন বেঞ্চে।হাইকোর্টের নির্দেশে মহকুমা শাসকের কাছে দুইবার শুনানির পর ওবিসি শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ মহাকুমা শাসকের। যে নির্দেশের পর এলাকা জুড়ে ব্যাপক শোরগোল। এবার প্রধান পদ বাতিল হতে চলেছে তৃণমূল প্রধানের। সাথে উঠেছে একাধিক প্রশ্ন? যদি তিনি বাংলাদেশী নাগরিক হন তবে কি ভাবে এ দেশের নাগরিকত্ব পেলেন। কি ভাবে তার আধার ভোটার হল। এই নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন অভিযোগকারী তৃণমূল প্রার্থী। তার অভিযোগ এর পেছনে রয়েছে তৃণমূলের বড় মাথারাই। অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই কংগ্রেসের দিকে দায় চাপিয়েছে তৃণমূল। পাল্টা তৃণমূল এবং প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নং ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলী খাতুন। যিনি গত পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেন। পরবর্তীতে তৃণমূলে যোগদান করে প্রধান হন। প্রধান পদটি ছিল ওবিসি মহিলা সংরক্ষিত। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করে ছিলেন রাহেনা সুলতানা। কংগ্রেসের প্রতীকে জয়লাভ করার পর যখন তৃণমূলের প্রধান হন তিনি তখন এই রাহেনা সুলতানা সহ আরো চারজন প্রশাসনে অভিযোগ দায়ের করেন এবং হাইকোর্টে মামলা করেন।কোর্টের নির্দেশে চাঁচলের মহকুমা শাসক সৌভিক মুখার্জি দুইবার শুনানি করেন। সেই শুনানিতে উঠে আসে বিস্ফোরক অভিযোগ।যাদের সাক্ষী করে ওবিসি শংসাপত্র বের করে ছিলেন লাভলী খাতুন। তারা নিজেরাও জানতেন না। জাল করা হয়েছিল তাদের সই। বাবা হিসেবে যার নাম উল্লেখ করা হয়েছিল তিনিও ভুয়ো। এরপরেই শংসাপত্র বাতিলের নির্দেশ মহাকুমা শাসকের। আর এই নির্দেশ সামনে আসার পর তৃণমূল প্রার্থী রাহেনা সুলতানার অভিযোগ তার জাল নথিপত্র বের করার জন্য তৃণমূলের অনেকেই যুক্ত। আরো এই ধরনের বাংলাদেশিরা জাল নথিপত্র ব্যবহার করে লুকিয়ে আছে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায়। এই অভিযোগ সামনে আসার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের দাবি কংগ্রেস তাকে টিকিট দিয়েছিল। এর জন্য কংগ্রেস দায়ী। প্রশাসন নিজের কাজ করেছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ তার পরিবার কংগ্রেস করত বলে সে টিকিট পেয়েছিল।ভুয়ো নথিপত্রের জন্য দায়ী তৃণমূলের প্রশাসন। তৃণমূল কে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপিও। অন্যদিকে লাভলী খাতুনের স্বামীর ফোনে দাবি তাদের কাছে এই ধরনের কোন কাগজ আসেনি তাই তারা জানেন না।