মালদা;তনুজ জৈন;২৮জানুয়ারি: খবরের জেরে নড়েচড়ে বসলো প্রশাসন। জেলা শাসকের নির্দেশে ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক সরজমিনে তদন্ত করে অভিযোগ দায়ের করলেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। তারপরেই বাড়িতে হানা পুলিশের। যদিও পলাতক রয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। যার বিরুদ্ধে আবাস যোজনায় প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার পর কাটমানি নেওয়া এবং চাওয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন একাধিক উপভোক্তা।এই সংক্রান্ত ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক মাধ্যমে। সেই খবর সম্প্রচারিত হয়েছিল সংবাদ মাধ্যমে। সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন উপভোক্তারা। তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে কংগ্রেসের ওই পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী টাকা তুলতো তোপ বিজেপির। বাংলায় প্রশাসন তৎপর পাল্টা তৃণমূল। সাফাই দিয়েছে কংগ্রেস। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
প্রসঙ্গত মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের বড়ই গ্রাম পঞ্চায়েতের গহিলা গ্রামের কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা নিরুপমা দাস (রায়ের) স্বামী সুপেন রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক উপভোক্তার কাছে আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা ঢোকার পর টাকা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।হুমকি দেওয়া হয়েছিল কাটমানি না দিলে মিলবে না দ্বিতীয় কিস্তি। সেই ভিডিও হয়েছিল ভাইরাল। এই নিয়ে খবর সম্প্রচারিত হওয়ার পর জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়ার নির্দেশে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক এবং যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক গহিলা তে তদন্তে জান। তদন্ত করে তারা জানতে পারেন দুইজন উপভোক্তা ইতিমধ্যেই কাটমানি দিয়ে ছিল। বাকি আরো অনেকের কাছেই চাওয়া হয়ে ছিল। এমনকি এক বৃদ্ধার কাছ থেকে সিএসপির স্লিপে টিপ ছাপ নিয়ে যে টাকা তোলার চেষ্টা হয়ে ছিল।সেখানেও জান আধিকারিকরা। যদিও সেই সিএসপি বন্ধ ছিল। তারপরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। তল্লাশি অভিযানে গিয়ে সুপেন রায়কে পাইনি পুলিশ। তার পরিবারের লোকেরা পুলিশ আসার কথা স্বীকার করল আসার কারণ নিয়ে মুখ খুলতে চাইনি।