মালদা;তনুজ জৈন;২৭ডিসেম্বর: প্রথমে সেচ দপ্তরের অধীনে থাকা সরকারি জমি থেকে বহু মূল্যবান গাছ কেটে সাফ। তারপর সেই জমি ১০ টাকার স্ট্যাম্প পেপারে লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি। দুই হাত থেকে তিন হাতে সেই জমি বিক্রি। প্রকাশ্যে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম। প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের। প্রশ্নের মুখে সেচ দপ্তর এবং ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের ভূমিকা। তৃণমূলের মদতে এই ভাবে একাধিক জায়গায় সরকারি জমি বিক্রি হয়ে যাচ্ছে কটাক্ষ বিজেপির। অভিযোগ সত্যি হলে প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে সাফাই তৃণমূলের।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত মালিওর বাঁধ রোডে রয়েছে সেচ দপ্তরের জমি। যে জমি এখন সম্পূর্ণ দখল হয়ে গেছে। সেখানে বাড়ি করে দোকান করে থাকছে মানুষ। যারা বসবাস করছে তাদের দাবি তারা বেশ কিছু বছর আগে এই জমি অন্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে কিনেছেন। অভিযোগকারী দাবি আব্দুল মাজীদ নামে এক জমি মাফিয়া সেখানে বহুমূল্যবান বিভিন্ন গাছ ছিল। সেগুলি প্রথমে কেটে পাচার করেন। তারপরে সেই জমি দশ টাকার স্ট্যাম্প ব্যাপারে বিক্রি করেন। বর্তমানে সেগুলো দুই হাত থেকে তিন হাতে বিক্রি হয়ে গেছে। জমি বাঁচাতে তিনি সেচ দপ্তর মহকুমা শাসক এবং ভূমি দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন। প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে কি ভাবে বিক্রি করা সম্ভব হল এই জমি উঠেছে প্রশ্ন? বিজেপির অভিযোগ প্রশাসন এবং তৃণমূলের মদতে রাতের অন্ধকারে এই জমিগুলো দখল হয়ে বাড়ি হয়ে যাচ্ছে। বন্যার সময় এখানে কিছু মানুষ ত্রিপল নিয়ে অস্থায়ীভাবে বসবাস করত। তারপরে খালি ছিল জমি। মুখ্যমন্ত্রী একাধিকবার প্রশাসনিক সভা থেকে সরকারি জমি দখল নিয়ে ভূমি দপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন। তারপরও কিভাবে সম্ভব উঠেছে প্রশ্ন। যদিও তৃণমূলের দাবি অভিযোগ সত্যি বলে প্রশাসন পদক্ষেপ নেবে। মুখ্যমন্ত্রী এ ব্যাপারে সুস্পষ্ট নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন।শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।