মালদা;তনুজ জৈন;১৬নভেম্বর: দুই দফায় হাসপাতালগামী ব্যস্ততম রাস্তার সংস্কারের কাজে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। ব্যবহার করা হচ্ছে নিম্নমানের সামগ্রী।মানা হচ্ছে না সিডিউল।এমনকি প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না কাজের সিডিউল। রাতের অন্ধকারে চলছে কাজ। দুর্নীতির অভিযোগ উঠতেই জেলা শাসকের নির্দেশে তদন্তে প্রশাসনিক আধিকারিকরা।তৃণমূল নেতার কাছে সামগ্রি কিনে ঠিকাদার নিম্নমানের কাজ করছে।কাটমানি যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পকেটে, অভিযোগ বিজেপির।পাল্টা সাফাই তৃণমূলের।
মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় শহীদ মোড় থেকে হাসপাতাল পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারের কাজ হচ্ছে। এই রাস্তা এলাকার অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা। প্রচুর মানুষ যাতায়াত করে। দুই দফায় রাস্তা সংস্কারের বরাদ্দ হয়েছে এক কোটি টাকা। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ একদম নিয়ম মেনে কাজ হচ্ছে না। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দুর্নীতি করছে ঠিকাদার। কাজের সিডিউল প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না। এই ভাবে কাজ চললে যে কোন সময় নষ্ট হয়ে যাবে এই রাস্তা। এমনটাই আশঙ্কা এলাকাবাসীর। এছাড়াও কাজ হচ্ছে রাতের অন্ধকার। যাতে দুর্নীতি থেকে ফাঁকি দেওয়া যায় মানুষের চোখকে। কাজে দুর্নীতির অভিযোগ আসতেই এদিন জেলা শাসকের নির্দেশে কাজ খতিয়ে দেখতে আসেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক মোহাম্মদ আলী রুমি, সঙ্গে ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকরাও। তারা কাজ খতিয়ে সিডিউল টাঙানোর নির্দেশ দেন।বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল নেতা এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কাজের সমগ্র বালি থেকে শুরু করে সামগ্রী কিনছেন ঠিকাদার। সেগুলি অত্যন্ত নিম্নমানের।কাটমানির টাকা যাচ্ছে তৃণমূল নেতার পকেটে। ফলে ব্যস্ততম রাস্তার কাজে এই ধরনের দুর্নীতি হচ্ছে। যদিও তৃণমূলের দাবি দুর্নীতির অভিযোগ থাকলে প্রশাসন সেটা খতিয়ে দেখছে। বিজেপি উন্নয়নকে আটকানোর জন্য এই ধরনের অভিযোগ করছে। সমগ্র ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।