Type Here to Get Search Results !

থানা ঘেরাও এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি থেকে বিস্ফোরক প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একের পর এক বেলাগাম আক্রমণ নিয়ে এবার পাল্টা তোপ মোস্তাকের

থানা ঘেরাও এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি থেকে বিস্ফোরক প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের একের পর এক বেলাগাম আক্রমণ নিয়ে এবার পাল্টা তোপ মোস্তাকের, বিরোধীদের আক্রমণের আগে তৃণমূল নেতাদের অনুব্রত কে ফোন করে নেওয়ার নিদান দিলেন তিনি, পুলিশকেও এক হাত নিলেন, ফের সরব হলেন বন্যাত্রান দুর্নীতি নিয়ে, মোস্তাক বিজেপির এজেন্ট পাল্টা তৃণমূল।

মালদা;তনুজ জৈন;১৯অক্টোবর: রাজ্য-জুড়ে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং নারী ধর্ষণের প্রতিবাদে থানায় থানায় প্রদেশ কংগ্রেসের থানা ঘেরাও এবং ডেপুটেশন কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি থেকেই বিস্ফোরক প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। যখন জেলা জুড়ে তৃণমূল নেতারা একের পর এক হুমকি দিচ্ছে বিরোধীদের। কখনো গাছে বেঁধে রাখার নিদান আবার কখনো লাঠিপেটা করার নিদান। তখনই পাল্টা বিস্ফোরক কংগ্রেস নেতা। স্মরণ করিয়ে দিলেন অনুব্রতর পরিস্থিতি। তার পাল্টা নিদান বিরোধীদের হুমকি দেওয়ার আগে একবার অনুব্রত কে ফোন করে নিন।

পুলিশের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ। সাথে বন্যা ত্রাণ দুর্নীতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে তোপ তৃণমূলকে। আমরা অনুব্রতকে অনুসরণ করেই চলি দাবী তৃণমূলের। প্রদেশ কংগ্রেসকে বিজেপির বি টিম বলে কটাক্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোতোর। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেসের ঠিক করে দেওয়া নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানাতেও ডেপুটেশন কর্মসূচী নেয় হরিশ্চন্দ্রপুর ১এবং ২ নম্বর ব্লক কংগ্রেস। উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলম, কংগ্রেস নেতা বিমান বিহারী বসাক প্রমুখ। শহীদ মোড় থেকে মিছিল করে সমগ্র হরিশ্চন্দ্রপুর পরিক্রমা করে শহীদ মোড়ে এসে মিছিল শেষ হয়। পরবর্তীতে কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দল থানা তে গিয়ে ডেপুটেশন দেন। ১৪ দফা দাবিতে দেওয়া হয় সেই ডেপুটেশন।

এই কর্মসূচি থেকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল এবং পুলিশকে কার্যত এক হাত নেন মোস্তাক। মোস্তাকের অভিযোগ পুলিশ সম্পূর্ণ দলদাস হিসেবে কাজ করছে। তৃণমূল নেতাদের কথায় ওঠাবসা করছে। কিন্তু সেসব আর চলবে না। আরজিকর কাণ্ডের প্রসঙ্গ উঠে আসে তার মুখে।সাথে তৃণমূল নেতাদের তীব্র আক্রমণ করেন তিনি। সাম্প্রতিককালে জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী সহ বিভিন্ন তৃণমূল নেতাদের বিরোধীদের বেলাগাম আক্রমণ করতে দেখা গেছে। কখনো তারা লাঠিপেটা করার নিদান দিয়েছেন।কখনো আবার গাছে বেঁধে রাখার। এবার তার পাল্টা মোস্তাক তাদের স্মরণ করিয়ে দেন। এই সব নিদান দেওয়ার আগে একবার অনুব্রতকে ফোন করে নিতে। তিনিও এক সময় এই ধরনের হুমকি দিতেন। কিন্তু তারপর দুই বছর জেল যাত্রার পর তার অবস্থা কাহিল। সাথে পার্থ চক্রবর্তীর জেলে থাকার প্রসঙ্গও বলেন তিনি। ২০১৭ সালের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভয়াবহ বন্যা নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছিল।সেই ত্রাণ দুর্নীতি নিয়ে ফের সরব হন। তৃণমূল এবং প্রশাসনকে তোপ দাগেন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতা বিমান বিহারী বসাকের গলায় শোনা যায় দ্রোহের কার্নিভালের কথা। যদিও তৃণমূলের দাবি মোস্তাক আলম বিজেপির এজেন্ট। নিজে গো হারান হেরে বিজেপিকে জিতিয়েছেন।এখানে বিজেপিকে ধরে রাজনীতি তে টিকে আছেন। তাই এই সব বলেছেন।
Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side