মালদা;তনুজ জৈন;১২অক্টোবর: এবার পুজো পরিদর্শনে এসেও বেফাঁস মন্তব্য জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রীর। রাজ্য সরকারের পুজো অনুদান নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাম আমলের তুলনা। বাম আমলে রাজ্যে এত গ্রাম বাংলায় পূজা হতো না দাবি তৃণমূল নেত্রীর। পুজোর মন্ডপে আরজিকরের ঘটনা নিয়ে প্রতিবাদ করা যাবে না। এমনটাও মন্তব্য করলেন তিনি। যে মন্তব্য নিয়ে জেলা রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড়। পাল্টা তীব্র আক্রমণ রাজ্য সিপিএমের। অনুদান দিয়ে ক্লাবগুলোকে রাজনীতির আখড়া বানিয়েছে। এবার রাজ্যের মা লক্ষ্মীরা এদের ঝাঁটা পেটা করে বিদায় করবে খোঁচা সিপিএমের রাজ্য নেতার। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
![]() |
বিজ্ঞাপন |
শনিবার দুপুরে মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় পুজো পরিদর্শনে আসেন জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী সাগরিকা সরকার। হরিশ্চন্দ্রপুর ১ও ২ নম্বর ব্লক নেত্রীদের সাথে নিয়ে বিভিন্ন মণ্ডপে ঘোরেন তিনি। মেতে উঠেন সিঁদুর খেলায়। হরিশ্চন্দ্রপুর সদর এলাকায় কৈলাস নগর মহিলা সমিতির পূজা মন্ডপ থেকে বেফাঁস মন্তব্য করেন।এর আগেও আরজি করের ঘটনা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে বিতর্কের মুখে পড়ে ছিলেন সাগরিকা। এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, রাজ্য সরকার প্রত্যেকটা পুজো কমিটিকে অনুদান দিচ্ছে। আমরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখছি গ্রামবাংলায় ব্যাপক হারে পূজা হচ্ছে। বাম আমলে এত পুজো হতো না। আর প্রতিবাদের জায়গায় প্রতিবাদ হওয়া উচিত। পূজা মন্ডপে নয়। পাল্টা সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য জামিল ফিরদৌস বলেন, বাম আমলেও এই ভাবেই স্বমহিমায় পূজা হতো। ধার্মিক ভাবে সেই পুজো হতো। কিন্তু তৃণমূল অনুদান দিয়ে বিভিন্ন ক্লাব কে রাজনীতির আখড়া বানিয়েছে। প্রত্যেক জায়গায় তাদের নেতারা গিয়ে ফিতে কাটছে। এই অনুদান না দিয়ে রাজ্যের মহিলাদের সুরক্ষায় সেই টাকা খরচা করলে আরজিকরের ঘটনা ঘটত না। এবার শহর থেকে শুরু করে গ্রামে মা লক্ষ্মীরা এই তৃণমূল সরকারকে ঝাঁটা পেটা করবে।দশমীর দুপুরে তৃণমূল নেত্রীর এই মন্তব্য এবং পাল্টা রাজ্য সিপিএমের মন্তব্য নিয়ে তুঙ্গে রাজনৈতিক চাপানোতোর।