রবিবার গভীর রাতে একদল দুষ্কৃত বাড়ির দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে, সেই সময় বাড়িতে মিঠুন চক্রবর্তী এবং তার বয়স্ক মা পুতুল চক্রবর্তী ঘুমাচ্ছিলেন। মৃতের স্ত্রী স্নেহা মৈত্র চক্রবর্তী এবং একমাত্র সন্তান গিয়েছিল হিলিতে। পরবর্তীতে দুষ্কৃতীরা লুটপাট চালায় বিকট শব্দে ঘুম ভেঙে যায় মৃতের মায়ের। তিনি উঠে দেখেন মিঠুন চক্রবর্তী হাত-পা বাঁধা অবস্থায়। এই খবর জানাজানি হতেই প্রতিবেশীরা ছুটে আসে, তৎক্ষণাৎ নিয়ে যাওয়া হয় বংশীহারী গ্রামীণ হাসপাতালে। কর্তব্যরত চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বংশীহারী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন গঙ্গারামপুর মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক। এর পাশাপাশি উপস্থিত হন অ্যাডিশনাল এস পি ইন্দ্রজিৎ সরকার। জানা যায় মৃত ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সুদের কারবার চালাতেন। স্থানীয়দের অনুমান অর্থনৈতিক লেনদেনে এই ঘটনা ঘটতে পারে। তবে তদন্তের স্বার্থে এই বিষয়ে কোন প্রকার মন্তব্য করেননি তদন্তকারী অফিসার।
এই বিষয়ে বুনিয়াদপুর পৌর প্রশাসক কমল সরকার জানান," ঘটনা খবর পেয়ে এসেছি, পুলিশ প্রশাসন নির্দিষ্ট নিয়মে খুব তাড়াতাড়ি তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে আসবেন এটা আশা করছি",।
এই প্রসঙ্গে মৃতের জামাইবাবু বিশ্বনাথ চক্রবর্তী জানান," রাত্রি চারটার সময় আমার কাছে ফোন আসে, জানতে পারি আমার শ্যালক খুন হয়েছে,শুনেছি একটা জমি কেনার কথা ছিল, সুদের ব্যবসা ছিল, দুষ্কৃতীরা বাড়ি থেকে অনেক সোনা এবং ৪৫ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে ",। মৃতের মা পুতুল চক্রবর্তীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে বংশীহারী থানার পুলিশ।