মালদা;তনুজ জৈন;২৯অক্টোবর: বাংলায় কাজ করতে এসে আক্রান্ত বিহারের পরিযায়ী শ্রমিক এবং তার স্ত্রী। পরিযায়ী শ্রমিক কে গণপিটুনি দিয়ে খুনের চেষ্টা। সামনে সেই চাঞ্চল্যকর ভিডিও। স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে মারধরের অভিযোগ।মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই শ্রমিক। এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
বিজেপির অভিযোগ জেলা তৃণমূল সভাপতি উস্কানি মূলক বক্তব্যের পর এই ধরনের ঘটনা ঘটলো। তৃণমূল বাংলায় বাঙালি অবাঙালি বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ মানতে নারাজ তৃণমূল। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার অন্তর্গত সিংপাড়ার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা।বিহারের দারভাঙ্গা জেলার বাসিন্দা শ্রী চন্দ্র সাহানি হরিশ্চন্দ্রপুরে মাখনার ফরিতে পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে কাজ করতেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মাখনা ব্যবসায়ীদের ১০ জনের একটি দল ধার দেনার বিষয় নিয়ে পরিযায়ী শ্রমিককে আক্রমণ করেন। যাদের মধ্যে ছিলেন বাটুল, রহমান, রবিউল, সাবির।ওই মাখনা ফড়ির মালিকের অভিযোগ লেনদেন সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে বলপূর্বক তাকে এবং তার স্ত্রীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তারপরেই মধ্য রাস্তায় গণপিটুনি দিয়ে খুনের চেষ্টা। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে ছিল ওই শ্রমিক।যে ভিডিও সামনে এসেছে। এমনকি ওই মাখনা জমির মালিকের অভিযোগ তার স্ত্রীকেও রেহাই দেওয়া হয়নি। প্রকাশ্য রাস্তায় বিবস্ত্র করে মারা হয়েছে।
ঘটনার খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে ছুটে যায় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও ততক্ষণে অভিযুক্তরা পলাতক। আক্রান্ত শ্রমিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করে পুলিশ। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয় চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় ওই শ্রমিককে বিহারের পূর্ণিয়া তে রেফার করা হয়েছে। প্রসঙ্গত তৃণমূল ভিন রাজ্যে বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিল। কিন্তু বাংলাতে এই ঘটনা ঘটার পর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। এদিকে কিছু দিন আগেই হরিশ্চন্দ্রপুরের লক্ষণপুরের পরিযায়ী শ্রমিক মতি আলীর রাজস্থানের মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলনে নেমেছিল তৃণমূল। জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি অভিযোগ করেছিলেন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙ্গালীদের খুজে খুজে মারা হচ্ছে। সাথে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল এই রাজ্যে বিজেপি দের খুজে খুজে এই ভাবে মারা হবে। তার বক্তব্যে বাংলায় কাজ করা বিহার উত্তর প্রদেশের শ্রমিকদের কথা উঠে এসেছিল। বিজেপির অভিযোগ এই ধরনের বক্তব্যের কারণে তৃণমূল আশ্রিত এই দুষ্কৃতীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।বাংলায় একটা বিদ্বেষের পরিবেশ সৃষ্টি করছে তৃণমূল। যদিও পাল্টা তৃণমূলের দাবি বাংলায় সকলে শান্তিতে আছে। এই ধরনের ঘটনা অনভিপ্রেত। বিজেপি শাসিত রাজ্যে পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না। কিন্তু বাংলায় পুলিশ তৎপর। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।