সুশোভন সিংহ:- জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোট চলাকালীন পাক অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে মন্তব্য করলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।শুক্রবার যোগী বলেন,জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা ভোটের পালা শেষ হলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখলের কাজ শুরু করবে ভারত। বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পাক অধিকৃত কাশ্মীর আদতে জম্মু ও কাশ্মীরেরই অংশ। এই বিধানসভার ভোট শেষ হলে পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে আবার জম্মু ও কাশ্মীরের অংশ করে তোলা হবে।’ যদিও বিরোধী দলগুলো দাবি করেছে এটা যোগীর ভোট প্রচারের কৌশল।
২০২৪ লোকসভা ভোট নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বের একাংশের ভোট প্রচারের ইসু ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ে মন্তব্য। লোকসভা ভোট চলাকালীন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেছিলেন, ‘‘নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি ৪০০ আসনে জিতলেই পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করে ভারতে যুক্ত করা হবে।’’ এবার জম্মু-কাশ্মীরের ভোট প্রচারে গিয়ে এই ইস্যু তুললেন যোগী। এদিন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তার রাজনৈতিক ভোট প্রচারের বলেন, ‘‘পাকিস্তান এখন ভিখারিতে পরিণত হয়েছে। তারা নিজেরদেরই সামলাতে পারছে না, অধিকৃত কাশ্মীর কী করে সামলাবে? পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারাই এখন পাকিস্তানের হাত থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য আন্দোলন করছেন।’’
বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটে পাকিস্তান। দ্রব্যমূল্য আকাশ ছোঁয়া। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে সমস্যায় পড়ছে দেশটির সাধারণ জনগণ। এর মাঝে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদ-সহ সামাহনি, সেহানসা, মিরপুর, রাওয়ালকোট, হাত্তিয়ান বালা, খুইরাট্টা, তত্তাপানির মতো এলাকায় ইসলামাবাদ বিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। চড়া রাজস্ব, মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ সঙ্কটের মুখে অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দাদের অসন্তোষ অনেক দিন ধরেই জমা হচ্ছিল। সূত্রের দাবি, ওই অঞ্চলে উৎপন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে পাকিস্তানের অন্যান্য শহরে। তা নিয়ে ক্ষুব্ধ অধিকৃত কাশ্মীরের বাসিন্দারা প্রতিবাদে পথে নেমেছেন। এমনকি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একাংশ জনতা চাইছে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে। যদিও পাকিস্তান পুলিশ ও সেনাবাহিনী এই অঞ্চলগুলোতে আন্দোলনকে দমাতে সর্বদা সচেষ্টা। ইতিমধ্যেই আন্দোলনকারীদের উপরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে।