মালদা; তনুজ জৈন, ২৭সেপ্টেম্বর: সরকার থেকে ঘর পেলে এভাবে বাবাকে প্রাণ হারাতে হতনা। আক্ষেপের সুরে এভাবেই চোখে জল নিয়ে জানালেন বাড়িচাপা পড়া মৃতের ছেলে।বৃহস্পতিবার সারাদিন তুমুল বৃষ্টি।সারাদিন নির্মাণ কর্মীর কাজ করে সন্ধ্যায় বাড়ি গিয়ে খাবার খেয়ে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন অপু দাস(৩৩)।তারমধ্যেই সব যেন উলটপালট হয়ে যায়।আস্ত পুরোনো বটগাছ উপড়ে পড়ে তাদের কাচা বাড়িতে।দুই সন্তান ও তার স্ত্রীও চাপা পড়ে।কোনোরকমে বেরিয়ে আসে সপ্তম শ্রেণির তার ছেলে আকাশ দাস।তার চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।বাকি তিনজনকে উদ্ধার করলে অপু দাসের মৃত্যু হয়।বৃষ্টির মধ্যেই এই উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হয় প্রতিবেশীদের।ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়।রাতেই ঘটনাস্থলে যান চাঁচল থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুণ্ডু ও পুলিস ও দমকল বাহিনী।শুক্রবারও দুপুর পর্যন্ত গ্রামিণ রাস্তা থেকে গাছ সরানো সম্ভব হয়নি।বর্তমানে মহানন্দপুর, মকদমপুর ও ভগবানপুর তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত চলাচল বন্ধ হয়ে রয়েছে রাত থেকেই।শুক্রবার অকুস্থলে ও পরিবারকে সমবেদনা জানাতে কলিগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা।
এদিন মৃতের ছেলে আকাশ দাস বলেন,স্থানীয়রা না আসলে আমাদেরও প্রাণ চলে যেত।টিনের বেড়া ও টালির ছাউনিতেই আমরা থাকতাম।সরকারি ঘরের কোনো নাগাল পাওয়া যায়নি।আজকে আবাস যোজনার ঘর পেলে এইভাবে বাবাকে অকালে চলে যেতে হতনা।যদিও স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান রেজাউন খানের দাবি,আবাস প্লাসে তাদের নাম রয়েছে।কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় এই পরিণতি হল।দ্রুত যাতে পরিবারটি মাথা গোঁজার ঠাঁই পায় তা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করা হচ্ছে।