সাত দিন ধরে যুবকের নিখোঁজের ঘটনায় পড়তে পড়তে রহস্য, যুবকের ফোন থেকে অপহরণের মেসেজ, ঘুমন্ত অবস্থায় ছবি, কিন্তু পুলিশে অভিযোগ করেও হয়নি কিনারা, এমনকি এক সিভিক দাবি করে তার ছেলে অপহরণের নাটক করছে, ওই সিভিকের খোঁজে এবং ছেলেকে ফিরে পাওয়ার দাবিতে ফাঁড়ির সামনে জমায়েত পরিবারের, ব্যাপক ধস্তাধস্তি, দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চলছে দাবি পুলিশের।
মালদা;তনুজ জৈন;১৮সেপ্টেম্বর: হঠাৎ করে সাত দিন আগে নিখোঁজ হয়ে যায় লরি চালক এক যুবক।পরিবারের পক্ষ থেকে ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু তারপরেও মেলেনি কোন সন্ধান।কিনারা দিতে পারেনি পুলিশ।আবার নিখোঁজ যুবকের ফোন থেকে পরিবারের লোকের কাছে হোয়াটসঅ্যাপ মারফত মেসেজ আসে তাকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু পরিবারের লোকের অভিযোগ এই অপহরণের তত্ত্ব মানতে নারাজ পুলিশ। এমনকি এক সিভিক নাকি দাবি করে নিখোঁজ যুবক অপহরণের নাটক করছে তিন লক্ষ টাকার জন্য। তার মাঝেই নিখোঁজ যুবকের ফোন থেকে আবার কয়েকটা ছবি আসে পরিবারের সদস্যদের কাছে। যে ছবিতে দেখা যাচ্ছে ঘুমন্ত অবস্থায় রয়েছেন ওই যুবক। ছবি দেখে আতকে উঠেছেন পরিবারের লোকেরা। তাদের আশঙ্কা তাদের ছেলেকে খুন করা হয়েছে।
যদিও পুলিশের দাবি আগেই ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তদন্ত শুরু হয়েছে। লোকেশন দিল্লি দেখানোর ফলে দিল্লী পুলিশের সঙ্গে কথা বলে চলছে তদন্ত।মালদা জেলার কুমেদপুর ফাঁড়ির এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য।নিখোঁজ যুবকের নাম আমিজুল হক। বাড়ি নতুন সাদলিচক এলাকায়।এদিন ইউসুফ নামে ওই সিভিকের খোঁজে এবং নিজেদের ছেলেকে জীবিত বা মৃত অবস্থায় ফিরে পাওয়ার দাবিতে ফাঁড়ির সামনে জমায়েত হন পরিবারের লোক এবং এলাকাবাসী। ওই সিভিক কে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান।কেন ফোন লোকেশন ট্র্যাক না করে তাদের ছেলেকে খুঁজছে না পুলিশ এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পরিবারের একাংশ।ওই সিভিক কি ভাবে এই কথা বলল।সেটা নিয়েও প্রশ্ন উঠে। রীতিমতো পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। যদিও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে লোকেশন ট্র্যাক করে জানা গেছে এই মুহূর্তে ওই নাম্বার দিল্লিতে আছে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে তদন্ত শুরু হয়েছে।