Type Here to Get Search Results !

RG Kar: ময়নাতদন্ত নিয়ে রাজ্যকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের, কিসের ভিত্তিতে অস্বাভাবিক মৃত্যু বলা হল


আপনার নিউজ ডেক্স:- দেশের সর্বোচ্চ আদালতে শুনানি চলছে আরজি কর কান্ডের। আদালতে আজ cbi এবং রাজ্যকে নানান প্রশ্নবান ছুড়ে দেন মহামান্য বিচারপতিরা। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এই শুনানি চলছে। শুনানি চলাকালীন বিচারপতি পারদিওয়ালা জানতে চান, কখন ময়নাতদন্ত হল? রাজ্য জানায়, সন্ধ্যা ৬টা ১০ থেকে ৭টা ১০-এর মধ্যে। বিচারপতি পারদিওয়ালা রাজ্যের কাছে জানতে চান, অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা কখন দায়ের করা হয়? 


রাজ্যের আইনজীবী জানায়, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছিল। বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, “এটা কি অস্বাভাবিক মৃত্যু? যদি হয়, তবে ময়নাতদন্তের কী প্রয়োজন ছিল? এখানে দেখতে পাচ্ছি রাত সাড়ে ১১টায় জেনারেল ডায়েরি হয়। তার ১৫ মিনিটের মাথায় এফআইআর হল? আদালতের কাছে সঠিক ভাবে বক্তব্য রাখুন।” বিচারপতি পারদিওয়ালা আরও বলেন, “অবাক হচ্ছি, ময়নাতদন্তের আগেই বলে দেওয়া হল অস্বাভাবিক মৃত্যু?”



সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, “প্রথমে পরিবারকে বলা হয় আত্মহত্যা। পরে বলা হয় মৃত্যু। তখন সন্দেহ তৈরি হতে তার পর থেকে ভিডিয়োগ্রাফি করা হয়।” তার পরেই প্রধান বিচারপতি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখতে চান। তারপর বিচারপতি পারদিওয়ালা বলেন, “পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিন্টেন্ডেন্ট কে? তদন্তে তাঁর ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এমন ভাবে তদন্ত হল?”



রাজ্যের তরফে আদালতে জানানো হয়, আর্জি কর-কাণ্ডে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু হয়েছে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু কেস ডায়েরি উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, “এখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, রাত ১১টা ৩০ মিনিটে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছিল।”


শুনানি চলাকালীন পুলিশের সময় নষ্ট নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রধান বিচারপতি। প্রধান বিচারপতি বলেন, “একটা জিনিস নিয়ে খটকা লাগছে। সকাল ১০টা ১০ মিনিট নাগাদ টালা থানা অভিযোগ দায়ের করল। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাস্থল সিল করল পুলিশ? এত ক্ষণ সেখানে কী হয়েছিল?” রাজ্যের তরফে বলা হয়, বিষয়টি এমন নয়। সব কিছুর ভিডিয়োগ্রাফি রয়েছে। সলিসিটর জেনারেল বলেন, “রাজ্য বলছে মৃতার বাবা এফআইআর দায়ের করার অনুমতি দেননি।” 


চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে আদালত উদ্বেগপ্রকাশ করার পরেই রাজ্যের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন কেন্দ্রের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের এক মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের নেতার বিরুদ্ধে কোনও কথা বললে আঙুল কেটে দেব।” রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বল পাল্টা বলেন, “আপনাদের নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন গুলি চালিয়ে দেব।” দুই পক্ষের বাগ্‌যুদ্ধ দেখে প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেন, “এই বিষয় নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত।”


বিরতির পর দুপুর ২টো থেকে ফের আরজি কর মামলার শুনানি শুরু করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে।

Tags

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Top Side